মহারাষ্ট্রের মতো বিহারেও ভোট লুটের চেষ্টা করছে বিজেপি। আর সেই উদ্দেশ্যে ভোটার তালিকায় কারচুপির চেষ্টা চলছে। বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচিতে (ঘটনাচক্রে, বুধবারই ছিল বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বন্ধ) পটনায় গিয়ে এই অভিযোগ করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সেই সঙ্গেই তাঁর ঘোষণা, ‘‘বিহারে আমরা তা (ভোট লুট) হতে দেব না।’’
বিধানসভা নির্বাচনের আগে কমিশন যে পদ্ধতিতে বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন করছে ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধন’-এর আশঙ্কা, কমিশন যে ভাবে ভোটারদের নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইছে, তাতে দু’কোটির মতো মানুষ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যেতে পারেন। এর প্রতিবাদে বুধবার বিহার বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন তারা। রাহুলের সভায় হাজির বিহার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমারের প্রশ্ন তোলেন, আধার, রেশন কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমনকি ভোটার কার্ড, সব বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশন জন্মের শংসাপত্র চাইছে কেন?
আরও পড়ুন:
কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, গত লোকসভা নির্বাচনে বিহারের আট কোটি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। কেন তাঁদের ১২ মাসের মধ্যে কেন ফের ভোটার হওয়ার প্রমাণ দিতে হবে, সে প্রশ্নও উঠেছে। পটনায় বুধবার ‘মহাগঠনবন্ধন’-এর বিক্ষোভ সমাবেশে একটি ছাদখোলা গাড়িকে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করেন রাহুল। আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদব, সিপিআইএমএল লিবারেশন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজাও ছিলেন নির্বাচন কমিশনের দফতরের অদূরের ওই সমাবেশে। কিন্তু কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার এবং কংগ্রেসে যোগদানকারী পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদবকে সেই গাড়ির ছাদের মঞ্চে উঠতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।