করিমগঞ্জ পুরসভায় অচলাবন্থা চলছেই। দিনদিন আরও প্রকট হচ্ছে কংগ্রেসের অন্তর্বিরোধ। বাজেট অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসে পুরসদস্যদেরই একাংশ। সে দিকে তাকিয়ে দলীয় পুরসদস্যদের বৈঠকে ডাকলেন জেলা কংগ্রেস নেতারা। আগামী কাল করিমগঞ্জের ইন্দিরা ভবনে ওই বৈঠকে হাজির থাকবেন দলের জেলা সভাপতি সতু রায়, উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। পুরসভায় কংগ্রেসের ১০ পুরসদস্যের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন।
দলীয় সূত্রে খবর, আগামী কালের বৈঠকে পুরপ্রধান শিখা সূত্রধরকে পুরসভার বিষয়ে সুর্নিদিষ্ট কিছু তথ্য নিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সভাপতি। পুরপ্রধানকে জানাতে বলা হয়েছে— প্রত্যেক পুরসদস্য নিজের নিজের ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য কত টাকা পেয়েছেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কতগুলি বৈদ্যুতিক বাতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি কী ভাবে কেনা হয়েছে। তা ছাড়া বাজারের দোকান বণ্টন নিয়েও বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন সতুবাবু। আজ পুরপ্রধানের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা সভাপতি। দলের অন্দরমহলের খবর, এ দিন সরকারি ছুটি। আগামী কাল কার্যালয় খোলা থাকলেও কংগ্রেস-শাসিত পুরসভায় দু’বছরের কার্যকালের পুরো হিসেব ২-৩ ঘণ্টায় খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। সে কথা দলের জেলা সভাপতিকে জানিয়েছেন পুরপ্রধান। অন্য দিকে কংগ্রেস পুরসদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে এ দিন রাতে নিজের বাড়িতে বৈঠক ডাকেন শিখাদেবী। বোর্ডের বাজেট অধিবেশনে কংগ্রেস পুরসদস্যরা কেন গরহাজির ছিলেন তা জানতে চান শিখাদেবী। করিমগঞ্জ পুরসভার সদস্য সংখ্যা ২৭। বর্তমানে কংগ্রেসের ১০, বিজেপির ১২ এবং বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত ৫ জন সদস্য রয়েছেন। তিন মাস আগে অনাস্থা ভোটে বিজেপির ৫ সদস্যকে ‘ক্রস-ভোটিং’ করার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পুরআইন অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে পুনরায় অনাস্থা আনা যায় না।
আপাতত মুক্ত পরমানন্দ। প্রমাণের অভাবে গ্রেফতার করা হল না সাহিত্য সভার প্রধান সম্পাদক পরমানন্দ রাজবংশীকে। সাহিত্য সভার প্রাক্তন প্রধান সহায়ক রাজেন দত্তর ঝুলন্ত দেহ সম্প্রতি যোরহাট সাহিত্য সভা চত্বরে মেলে। পাওয়া যায় দশ পাতার সুইসাইড নোট। সেখানে সাহিত্য সভার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে পরমানন্দ রাজবংশী ও বীরেন গোস্বামীর বিরুদ্ধে তছরুপের অভিযোগ করা হয়েছিল। রাজেনবাবুর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পরমানন্দবাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।গা-ঢাকা দেন তিনি। আদালত তাঁর আগাম জামিন নাকচ করে। যোরহাট থানা তাঁকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হাজির হওয়ার নোটিশ দেয়। গত রাতে থানায় আসেন তিনি। চলে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। আজ সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy