বিহার ভোটের ফল বেরোবে রবিবার। তার আগের দিন, শনিবারের বারবেলায় কুমায়ুন পাহাড়ের কোলে জগেশ্বরের মন্দিরে যাওয়ার কথা কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর।
বিহারের ভোটের সঙ্গে এই তীর্থযাত্রার যোগ নেই বলেই সনিয়ার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি। তাঁদের কথায়, সময়টা কাকতালীয় ভাবেই হয়তো মিলে গেছে! নভেম্বর জুড়ে উত্তরাখণ্ডে পর্যটনের বিকাশের জন্য কিছু কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে আলমোড়ায় জগেশ্বরের জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরে সনিয়াকে আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত।
তবে অনেকের মতে, হতে পারে সনিয়ার এই তীর্থযাত্রা বিক্ষিপ্ত ঘটনা। কিন্তু এ-ও ঠিক, গত দেড় বছরে যত হিন্দু তীর্থস্থানে সনিয়া-রাহুল গিয়েছেন, তার আগের দশ বছরে তত যাননি। সম্প্রতি মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমিতে গিয়েছিলেন রাহুল। তার আগে কাশ্মীরে ক্ষীর ভবানী মন্দিরে যান। গিয়েছিলেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও! কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলছেন, এই তীর্থযাত্রার নেপথ্যে মা-ছেলের রাজনৈতিক চিন্তা যে একেবারেই নেই, তা নয়! লোকসভা ভোটের পর এ কে অ্যান্টনির মতো দলের বর্ষীয়ান নেতা থেকে শুরু করে শাকিল অহমেদের মতো সংখ্যালঘু নেতা সনিয়া-রাহুলকে জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভুল বার্তা যাচ্ছে। বিজেপিও মানুষকে বোঝাচ্ছে যে, কংগ্রেসের এই অবস্থান আদতে মুসলিম তোষণ। তাই কংগ্রেসকেও সূক্ষ্ম ফারাকটা করতে হবে। দাদরি কাণ্ডের পর ইদানীং দেশে অসহিষ্ণু পরিবেশ নিয়ে কংগ্রেস সরব। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিষয়ে দলের নেতারা যথেষ্ট সংযত মন্তব্য করছেন। এমনকী যে দিগ্বিজয় সিংহ বাটলা হাউসে সন্ত্রাসবাদীদের হত্যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, তিনি এখন বলছেন, কংগ্রেস জমানাতেই দেশের ২৫টি রাজ্যে গোমাংস বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের ওই প্রবীণ নেতা বলছেন, সবটাই আদতে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা। বিজেপি যখন মেরুকরণের রাজনীতিতে হাওয়া দিচ্ছে, তখন সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি সংখ্যাগুরুদের ভাবাবেগেরও খেয়াল রাখছেন সনিয়া-রাহুল। তাঁদের হিন্দু তীর্থস্থানে যাওয়ার ঘটনাকে সেই প্রেক্ষাপটে দেখলে ভুল হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy