সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা।—ছবি পিটিআই
বিজেপি’র বিরোধ করলে সাজা আর বিজেপিতে গেলে মাফ— গত কয়েকদিন ধরে রেখেঢেকে এই অভিযোগই করছিল কংগ্রেস। আজ বলল খোলাখুলি, নাম ধরে ধরে। প্রাক্তন অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে সিবিআই গ্রেফতার করার পর আজ সকালেই এআইসিসিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। আর সেখানেই তিনি তালিকা দিয়ে দাবি করেন, বিজেপির বিরোধিতা করায় কারা সাজা পাচ্ছেন, আর বিজেপিতে যোগ দিলে কাদের দোষ মাফ হয়ে যাচ্ছে। প্রথমেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা মুকুল রায়ের নাম নেন রণদীপ। আবার বিজেপি’র সাজা দেওয়ার তালিকায় অন্য নেতাদের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও বলেন।
রণদীপ বলেন, ‘‘অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, বীরভদ্র সিংহ, ডি কে শিবকুমার, ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা, রাজ ঠাকরে, কমল নাথের পুরো পরিবার, আহমেদ পটেলের পরিবার, দেবগৌড়ার ছেলে, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, শশী তারুর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। আবার মজার বিষয় দেখুন, এমন অভিযুক্ত কেউ বিজেপিতে শামিল হলেই গঙ্গা স্নান করে যেন পবিত্র হয়ে যান। মুকুল রায়কে গ্রেফতারের চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু আমি শুনলাম, বিজেপিতে এসে ক্লিনচিট পেয়েছেন। অসমের এক মন্ত্রীর ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে। নারায়ণ রানেকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ গিয়েছিল, বিজেপিতে আসার এক মাসের মধ্যে ছাড়। রাজ্যসভায় দুই সাংসদের (তেলুগু দেশমের প্রাক্তন সাংসদ) বিরুদ্ধে বিজেপিই ৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। বিজেপিতে এসেই ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে গিয়েছে।’’
বিজেপি অবশ্য বলছে, বেকায়দায় পড়ে এখন অপপ্রচার করছে কংগ্রেস। যাঁর বিরুদ্ধে যা অভিযোগ ছিল, তার তদন্ত করছে ইডি ও সিবিআই। দরকার পড়লে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কিন্তু বিজেপির এই যুক্তিতে মজছে না বিরোধীরা। দিল্লির যন্তর মন্তরে বিরোধী দলের নেতারা আজ জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পদ্ধতি নিয়ে প্রতিবাদ জানান। ফারুক আবদল্লা, মেহবুবা মুফতিদের অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার দাবিও তোলেন। অনেকেরই বক্তব্য, ‘‘এই সরকার ভাবতে শুরু করেছে, গায়ের জোরে সবকিছু হাসিল করা যায়। বিরোধীদের মুখ পুরোপুরি স্তব্ধ করতে চাইছে সরকার। তবে সে আশা পূর্ণ হবে না।’’ রণদীপ বলেন, ‘‘মন্দা, বেকারত্ব, চৌপাট ব্যবসার থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই পথ খুঁজছে সরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy