পুরসভার পর এবার এআইইউডিএফের দখলে থাকা করিমগঞ্জ জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল কংগ্রেস। ৭ দিনের মধ্যে অনাস্থা নিয়ে আলোচনা করতে হবে সভানেত্রীকে। দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে সম্মতি জানালে পরাজিত হবেন সভানেত্রী নজরানা বেগম।
করিমগঞ্জ জেলা পরিষদ গঠনের সময় এআইইউডিএফের সদস্য সংখ্যা ছিল ৯ জন। কংগ্রেসের ছিল ৯ জন, বিজেপির ১ এবং নির্দল ১। জেলা পরিষদ গঠনের সময় বিজেপি ভোটদান থেকে বিরত ছিল। কিন্তু নির্দল জেলা পরিষদ সদস্যের ভোট এআইইউডিএফের পক্ষে ভোট দেওয়ায় এআইইউডিএফ করিমগঞ্জ জেলা পরিষদ দখল করে। পরবর্তীতে এআইইউডিএফের এক জেলা পরিষদ সদস্যের মৃত্যু হয়। সেই আসনে উপ-নির্বাচনে জয়লাভ করে কংগ্রেস প্রার্থী আবুবক্কর সিদ্দিকি। এআইইউডিএফের অপর সদস্য পরেশ দাস দল ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেন। বর্তমানে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১।
এ ভাবে দীর্ঘদিন চলার পর আজ অনাস্থা নিয়ে আসে কংগ্রেস এবং নির্দল সদস্য সুলতানা বেগম। তবে কংগ্রেসের এক সদস্য বদরুন্নেছা খানম অনাস্থা প্রস্তাবে সাক্ষর করেননি।
অনাস্থার বিষয়ে জেলা পরিষদের সভানেত্রী নজরানা বেগম জানান, প্রকল্প বণ্টনের ক্ষেত্রে তিনি কোনও পক্ষপাতিত্ব করেননি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হলেও ৭ দিনের ভিতর জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে যে বৈঠক করবেন সেখানে সবাইকে বোঝাতে পারবেন। তাঁর মতে, প্রকল্প বণ্টনে যেখানে কোনও দুর্নীতি বা পক্ষপাতিত্ব করেননি, সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে কেন।
কংগ্রেস জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে অনাস্থা তোলায় ক্ষুব্ধ এআইইউডিএফ সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভাল কাজ করার পরও অনাস্থা আনা হচ্ছে। এআইইউডিএফ দীর্ঘদিন থেকেই করিমগঞ্জ জেলা পরিষদে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। তবে এআইইউডিএফ অনাস্থার বিপক্ষে শক্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।’’
২০টি আসনযুক্ত করিমগঞ্জ জেলা পরিষদে অনাস্থা পাশ করাতে হলে ১৪টি ভোটের প্রয়োজন। কংগ্রেসের সদস্য ১১। তাই এআইইউডিএফের দখলে থাকা করিমগঞ্জ জেলা পরিষদে অনাস্থা টিকবে না বলে জানান সাংসদ রাধেশ্যামবাবু।
কংগ্রেস নেতা সিদ্দেক আহমদ বলেন, ‘‘কংগ্রেস অনাস্থা আনলেও কাউকে সভাপতি হিসেবে এখনও তুলে ধরেনি। করিমগঞ্জ জেলা পরিষদ নিয়ে আর কঠিন রাজনীতি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy