উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হিসেবে কোনও ওবিসি বা মুসলিম মুখ চাইছে কংগ্রেস। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারের কোনও নেতাকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করার দিকেও জোর দেবেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সে ক্ষেত্রে তারিক আনোয়ারের মতো সংখ্যালঘু নেতা এবং কোনও প্রবীণ ওবিসি নেতার নাম নিয়ে ভাবনাচিন্তা হবে।
আগামী ৭ অগস্ট দিল্লির সুনেহেরি বাগ রোডে রাহুল গান্ধীর নতুন সরকারি বাসভবনে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের নেতাদের নৈশভোজ বৈঠক হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সে দিন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বিজেপি তথা এনডিএ জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি হিসেবে কাকে প্রার্থী করছে, তা দেখার পরে। ওই বৈঠকে ভোটারতালিকা সংশোধন প্রসঙ্গে ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হবে। কারণ, সে দিন দুপুরেই রাহুল ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন।আজ এই সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা থাকলেও শিবু সোরেনের প্রয়াণের পরে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। ৮ অগস্ট বিরোধীরা দিল্লিতে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবেন। সে দিন রাহুল কর্নাটকে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরুদ্ধে জনসভায়যোগ দেবেন।
কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, মল্লিকার্জুন খড়্গে-রাহুল গান্ধীর কেউই দলের কোনও নেতাকে বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে চাপিয়ে দিতে ইচ্ছুক নন। যদি অতীতে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহা বা গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো কোনও নাম আসে, তা হলে কংগ্রেসের আপত্তি নেই।
২০২২-এ জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস মার্গারেট আলভাকে প্রার্থী করায় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ তুলেছিলেন, ঠিকমতো আলোচনা না করেই প্রার্থী ঠিক হয়েছে। তৃণমূল ভোটদানেও বিরত ছিল। এ বার শরিকদের থেকে কোনও নাম না এলেই কংগ্রেস কোনও ওবিসি বা মুসলিম নাম প্রস্তাব করতে পারে। তবে উপরাষ্ট্রপতি ভোট হারা ম্যাচ ধরে নিয়েই বিরোধী জোট মাঠে নামবে। কারণ, এই নির্বাচনে ভোটার লোকসভা, রাজ্যসভার সাংসদরা। দুই মিলিয়ে ৭৪২ জন সাংসদের মধ্যে এনডিএ-র কাছে ৪২৭ জন রয়েছেন। আপ-সহ ইন্ডিয়া জোটের কাছেরয়েছে ৩২৩টি ভোট।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)