—ফাইল চিত্র
প্রশ্নটা উঠেই গেল! ‘এ বুলেট ট্রেন লইয়া কী করিব?’
একা কংগ্রেস এ প্রশ্ন তুললে তা-ও এক রকম ছিল। কিন্তু, বিজেপি-র জোটসঙ্গী শিবসেনাও যদি সে প্রশ্ন তুলে বসে, তা হলে তা মোদী সরকারের পক্ষে অস্বস্তির তো বটেই।
গুজরাতের আমদাবাদে বুলেট ট্রেনের শিলান্যাস করতে জাপান থেকে এসেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে। ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে সহযোগী দেশও জাপান। বৃহস্পতিবার সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশে উন্নয়নের লক্ষ্যে এটা একটা বড় পদক্ষেপ। এবং বড় স্বপ্ন ছাড়া কোনও দেশই এগোতে পারে না।’’ তবে ‘বুলেট’ খোঁচার কথাও তিনি জানেন। এ দিন তিনি বলেছেন, ‘‘আমি যখন গুজরাতে, প্রায়ই বুলেট ট্রেনের কথা বলতাম। ওঁরা বলতেন, মোদী শুধুই ভারতে বুলেট ট্রেনের কথা বলে। কবে সেই ট্রেন আসবে, এত দিন সেই প্রশ্নই করতেন তাঁরা। এখন যখন বুলেট ট্রেন নিয়ে আসছি, তখন তাঁদের প্রশ্ন, বুলেট ট্রেনের দরকার কী?’’
আরও খবর
আমি বিজেপি-র দিকে বলে সিপিএম-ই রটাচ্ছে: ঋতব্রত
প্রশ্নটা প্রাথমিক ভাবে তুলেছে কংগ্রেস। দলীয় নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘ভারতের অগ্রাধিকারের মধ্যে বুলেট ট্রেন পড়ে না।’’ তাঁর মতে, এটা প্রধানমন্ত্রীর ‘ফোটোসেশন’-এর একটা সুযোগমাত্র। বুলেট ট্রেন ছাড়াও ভারতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। যেগুলি নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর ভাবনাচিন্তা করা উচিত। তিনি আরও জানান, ভারতের সঙ্গে জাপানের কৌশলগত মৈত্রী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেগুলো নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল।
কী বলছেন যাত্রীরা?
তবে, কংগ্রেসের থেকেও জোরদার সমালোচনা করা হয়েছে শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’তে। সেখানে বলা হয়েছে, এটা প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘অত্যন্ত দামি একটা স্বপ্ন’। আর সে জন্য দেশের মানুষের প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা ‘লুঠ’ করা হবে। এই প্রকল্পের সমস্যা নিয়ে একটা তালিকাও ওই পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে আরও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ওই প্রকল্পের জন্য মহারাষ্ট্রকে দিতে হবে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু, সে জন্য বুলেট ট্রেন মাত্র চারটি স্টেশনে দাঁড়াবে। অথচ গুজরাতে আটটি জায়গায় দাঁড়াবে বুলেট ট্রেন। কেন?
আরও খবর
গলাকাটা অবস্থাতেও হামাগুড়ি দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিল প্রদ্যুম্ন!
বিরোধীদের অভিযোগ, আসলে এ বছরেই গুজরাতে নির্বাচন। চমক দিতে মোদীর মতো জুড়ি গোটা দেশে নেই। শিল্পপতিদের ‘বুলেট’ চমক দিতেই চেয়েছেন তিনি। কিন্তু, দেশের সাধারণ মানুষের আদতে কী এতে কোনও লাভ হল? বুলেট ট্রেন দিয়ে তাঁরা কী করবেন?
প্রশ্নটা কিন্তু সাধারণ মানুষও করতে শুরু করেছেন। কলকাতা বা মুম্বইয়ের মতো জায়গা, যেখানে লোকাল ট্রেনে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন, তাঁরা এ দিন রীতিমতো ক্ষোভ জানিয়েছেন। বুলেট ট্রেন নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, যে পরিকাঠামোয় ভারতীয় রেল চলছে, সেটার দিকে প্রধানমন্ত্রী নজর দেবেন কবে? শুধু মন্ত্রী বদলেই কি তা সম্ভব? এ দিন সকালেও জম্মু থেকে নয়াদিল্লি পৌঁছনোর সময় রাজধানী এক্সপ্রেসের একটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। এই অব্যবস্থার দিকে নজর না দিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচা করে বুলেটে ট্রেনে মনোনিবেশ করার কোনও মানেই তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy