E-Paper

অসমে ‘মুসলিম বৃদ্ধি’র দাবি হিমন্তের, কটাক্ষ রাহুলকেও

২০১১ সালের জনগণনার হিসাবে মুসলিমদের জনসংখ্যার হার বেড়ে হয় ৩৪.২ শতাংশ। অর্থাৎ ৬০ বছরে ওই রাজ্যে মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ। তৃণমূলের মতে, তা মোটেই অস্বাভাবিক নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৬
(বাঁ দিকে) অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

(বাঁ দিকে) অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

অসমে মুসলিমদের সংখ্যা ১৯৫১ সালের ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ৪০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে এবং তা অসমিয়াদের ‘জীবন-মরণ সমস্যা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে মন্তব্য করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এর জন্য কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, সব বিরোধী দলই তাঁর সমালোচনা করেছে। আর আজ হিমন্ত ঘুরিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু-তোষণের অভিযোগ তুলে সরাসরি নিশানা করেছেন রাহুল গান্ধীকে।

হিমন্ত বলেন, ‘‘আমি মনে করি অসমের জনসংখ্যার সমস্যার সমাধান করা কংগ্রেসের দায়িত্ব, কারণ রাজ্যের সংখ্যালঘুরা কংগ্রেস নেতাদের কথা শোনেন। তাঁরা নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গান্ধীর মধ্যে রাহুলকেই বেছে নেবেন। তাঁরা আমায় শত্রু মনে করেন। তাই যদি রাহুল গান্ধী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অভিযানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন, আগামিকাল থেকেই অসমের জনসংখ্যা বৃদ্ধি ব্যাপক ভাবে কমবে।’’

অসম তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রিপুণ বরা ও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব তথ্য দিয়ে হিমন্তের যুক্তি খণ্ডন করতে চেয়েছেন। তাঁরা ১৯৫১ সালের জনগণনার তথ্য তুলে ধরে দেখান, তখন অসমের জনসংখ্যার ১২ শতাংশ নয়, ২৪.৬৮ শতাংশ ছিলেন মুসলিমেরা। ২০১১ সালের জনগণনার হিসাবে মুসলিমদের জনসংখ্যার হার বেড়ে হয় ৩৪.২ শতাংশ। অর্থাৎ ৬০ বছরে ওই রাজ্যে মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ। তৃণমূলের মতে, তা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। সুস্মিতার প্রশ্ন, ২০২১ সালে কোভিডের জন্য জনগণনাই হয়নি। তা হলে হিমন্ত কী ভাবে ৪০ শতাংশের দাবি করলেন? রিপুণ বলেন, ‘‘জনসংখ্যা বৃদ্ধি এক সার্বিক সমস্যা। তাকে সাম্প্রদায়িক চেহারা দেওয়া অন্যায়।’’

হিমন্ত রাঁচীতে আরও বলেন, বাংলাদেশের মুসলিমদের ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশের ফলেই মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে এবং তাঁর সরকার প্রতিদিন বড় সংখ্যক অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। তৃণমূলের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে সিএএ মামলায় কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে বলেছে, ২০১৭-২২ সালের মধ্যে সারা দেশ থেকে বহিষ্কার করা অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ১৪,৩৪৬। সে ক্ষেত্রে তাঁরা আজ পর্যন্ত কত জন বিদেশিকে বহিষ্কার করেছেন, এ নিয়ে শ্বেতপত্র দিন হিমন্ত। এনআরসি-তে কত জন বিদেশিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালগুলি কেন বন্ধ, কেন এনআরসি এখনও চূড়ান্ত হল না, কংগ্রেস আমলে অসম চুক্তি রূপায়ণ মন্ত্রক সামলানো হিমন্ত অনুপ্রবেশ বন্ধে কী পদক্ষেপ করেছিলেন, সেই সব জবাবও দাবি করেছে তৃণমূল।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরার মতে, রাজ্যের সমস্যাগুলিকে আড়াল করতেই হিমন্ত ধর্মের রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছেন। রাইজ়র দলের দাবি, প্রকৃত অসম ও হিন্দুপ্রেম দেখাতে হলে এনআরসি প্রকাশ ও অসম চুক্তির ৬ নম্বর দফা কার্যকর করে দেখান হিমন্ত।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Himanta Biswa Sarma Assam Rahul Gandhi

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy