মোদী সরকার এক বছর ধরে জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কংগ্রেস অভিযোগ তুলল, নরেন্দ্র মোদী নিজের ব্যর্থতা এবং ১১ বছরের অঘোষিত জরুরি অবস্থা থেকে নজর ঘোরাতে এই ‘নাটক’ করছে। আজ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ তুলেছেন, ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু সংবিধানের যে ৩৫২(১) অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন, সেই অনুচ্ছেদই যখন সংবিধান সংশোধন করে বাদ দেওয়া হয়, তখন ইন্দিরা গান্ধী তা সমর্থন করে সংসদে ভোট দিয়েছিলেন। তারপরে নির্বাচনে ইন্দিরা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ লোকসভা আসনে জিতে ফের ক্ষমতায় আসেন।
বিজেপি জরুরি অবস্থার পঞ্চাশ বছর নিয়ে হইচই করে কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছে। নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ খোদ মাঠে নেমেছেন। আজ কংগ্রেস সভাপতি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, জরুরি অবস্থার সময়ে আরএসএসের তদানীন্তন সরসঙ্ঘচালক বালাসাহেব দেওরস ইন্দিরা গান্ধীকে চিঠি লিখে যে জরুরি অবস্থাকে সমর্থন করেছিলেন, তা কি নরেন্দ্র মোদী জানেন? খড়্গে বলেন, ‘‘আমরা জরুরি অবস্থাকে সমর্থন করছি না। কিন্তু দেওরসের লেখা চিঠি কি আমরা প্রচার করব?” মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হর্ষবর্ধন সাপকালের দাবি, আরএসএসের তৃতীয় সরসঙ্ঘচালক দেওরস জরুরি অবস্থাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। জয়প্রকাশ নারায়ণ আন্দোলন থেকে আরএসএসকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গে আজ বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, রাজ্যে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ চলছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক কারণে যাঁরা জেলে বন্দি, তাঁদের অধিকাংশ হয় বিজেপি, নয় বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, মন্দির কমিটি কিংবা রামনবমী পালন কমিটির সদস্য।’’ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের জবাব, ‘‘এখন সংবিধানের মূল সুর পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির মুখে এই নিয়ে বড়বড় কথা মানায় না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)