নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর রোজই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে ইসলামাবাদ। তাদের মদতে কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপও অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে নতুন সরকার চলতি মাসে কেন পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে, তা নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ আজ বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে মাত্র ছ’মাস আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন গুজরাতের তৎকালীন নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, এক দিকে সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের মাথা কাটছে পাকিস্তান, অন্য দিকে পাক বিদেশমন্ত্রীকে ডেকে বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছে মনমোহন সরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ইসলামাবাদের তরফে কী এমন সাড়া পেলেন মোদী, যে উনি আলোচনায় বসতে চলেছেন? কী বিষয়ে কথা বলবেন তাঁরা?
চলতি মাসে ভারত পাক বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক। ২৫ তারিখ ইসলামাবাদ সফরে যাচ্ছেন বিদেশসচিব সুজাতা সিংহ। তার আগেই আজ এ ব্যাপারে সুর চড়ালো কংগ্রেস। তা হলে ভারত-পাক আলোচনা কি চাইছেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব? নাকি অতীতের বিজেপির মতো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে জাতীয়তাবাদের হাওয়া কাড়তে চাইছেন তারা?
খুরশিদের জবাব, কংগ্রেস বরাবরই পাকিস্তানের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার পক্ষে। সন্ত্রাসের বিরোধিতা করে ইউপিএ সরকার যেমন ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল, তেমনই আবার আস্থা বাড়াতে আলোচনাও চালিয়েছিল। কিন্তু তাতে ঘোর আপত্তি করেছিলেন মোদী ও বিজেপি নেতৃত্ব। অথচ এখন সেই মোদীই পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চলেছেন। যদিও পাকিস্তানের অবস্থানে কোনও ফারাক হয়নি। তাই কংগ্রেস জানতে চাইছে, আলোচনার বিষয়বস্তু কী? তা ছাড়া, ইউপিএ সরকারের আমলেও বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে পদক্ষেপ করেছিলেন মনমোহন সিংহ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে বাণিজ্যের দরজাও খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সবেতেই আপত্তি করেছিল বিজেপি। তা হলে এখন এই দ্বিচারিতা কেন!
জবাবে বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, অসহিষ্ণু না হয়ে কংগ্রেস আলোচনার জন্য অপেক্ষা করুক। কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোই লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসে মদত বন্ধের জন্য ইসলামাবাদকে বার্তাও দেবে নয়াদিল্লি।
আজ চিন প্রসঙ্গেও মোদীর সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সলমন বলেন, সীমান্তে চিনা সৈন্যের অনুপ্রবেশের পর গত বছর সংসদের ভিতরে-বাইরে সরব হয়েছিল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, গুগ্ল ম্যাপে পর্যন্ত চিনা অনুপ্রবেশ দেখা যাচ্ছে, আর ইউপিএ সরকার দেখতে পাচ্ছে না। অন্য দিকে চিনা অনুপ্রবেশকে ৬২ সালের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তৎকালীন লোকসভার বিরোধী দলনেতা সুষমা স্বরাজ। সেই মোদী-সুষমা এখন আর কেন চিনা অনুপ্রবেশ দেখতে পাচ্ছেন না? লে সফরে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী কেন চিনা অনুপ্রবেশের সমালোচনায় একটি শব্দও বললেন না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy