নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রথম বার ক্ষমতায় আসার পরেই তিনি দেশের শিক্ষামন্ত্রী। কিছু দিন তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী হিসেবে কাজ করে তিনি বস্ত্র মন্ত্রকের দায়িত্বে। তার পরে নারী ও শিশু কল্যাণ, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্বও পেয়েছেন। স্মৃতি ইরানির রাজনৈতিক পথ চলার সবচেয়ে সেরা সাফল্য অবশ্যই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের ঘরের মাঠ অমেঠীতে খোদ রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে দেওয়া।
সেই স্মৃতি ইরানি এ বার ফের অভিনয়ে ফিরছেন। ‘কিঁউকি সাস ভি কভি বহু থি’ ধারাবাহিক তাঁকে গোটা দেশে জনপ্রিয়তা দিয়েছিল। সেই ‘‘কিঁউকি সাস ভি কভি বহু থি-২’-এর মাধ্যমেই ফের অভিনয়ে ফিরছেন তিনি। চলতি মাসেই সেই ধারাবাহিকের সম্প্রচার শুরু হবে।
বিজেপি শিবিরের খবর, ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে জিততে না পারলেও স্মৃতি ইরানিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছিল। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে জেতার পরে তাঁর রাজনৈতিক রেখচিত্র তুঙ্গে উঠেছিল। কিন্তু ২০২৪-এ অমেঠীতে কিশোরীলাল শর্মার কাছে হেরে যাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া দূরের কথা, বিজেপির সংগঠনেও কোনও দায়িত্ব পাননি স্মৃতি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হতে পারে। কিন্তু শিকে ছেঁড়েনি। বিজেপি সূত্র বলছে, ২০১৯-এ অমেঠীতে জয়ের পরে স্মৃতির অহঙ্কারের জন্য তিনি দলের মধ্যেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছিলেন। ২০২৪-এ ভোটের সময়ে সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন বলে সূত্রের খবর। তার আগে সনিয়া গান্ধীকে লোকসভার মধ্যে আপনি-আজ্ঞে বাদ দিয়ে ‘ক্ষমা চাও’ বলে আক্রমণ করায় গোটা কংগ্রেসেরও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তখন থেকেই কংগ্রেস স্মৃতিকে হারাতে কোমর বেঁধে নেমেছিল।
আজ কংগ্রেস স্মৃতির অভিনয়ে ফেরাকে কটাক্ষ করে এর কৃতিত্ব অমেঠীর সাংসদ কিশোরীলাল শর্মাকে দিয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র সুরেন্দ্র রাজপুতের কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেস সবাইকে রুটিরুজি ফিরিয়ে দেবে। বিজেপি যাঁদের রুটিরুজি ছিনিয়ে নিয়েছিল, তাঁদেরও। এটাই শুরু।’’ স্মৃতি নিজে অবশ্য বলেছেন, গত ২৫ বছরে তিনি সরকারি নীতি ও গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। দু’টি কাজেরই নিজস্ব দায়বদ্ধতা রয়েছে। এখন তিনি এমন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে অভিজ্ঞতার সঙ্গে আবেগ মিশছে, দায়বদ্ধতার সঙ্গে সৃষ্টিশীলতা মিলছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)