গুজরাত বিধানসভার ভোট মিটে গিয়েছে। কিন্তু লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে সংগঠনের রাশ আলগা করতে নারাজ রাহুল গাঁধী।
উল্টে বিধানসভা ভোটের প্রচার ও রণকৌশলে কোথায় খামতি থেকে গিয়েছিল, তা নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি আজ গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে পর্যালোচনায় বসেন। গুজরাত ভোটে গ্রামে ভাল ফল করলেও শহরাঞ্চলে আশানুরূপ ফল হয়নি কংগ্রেসের। অথচ নোট বাতিল ও জিএসটি-র ফলে শহরের ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ছিল। ভোটের পরেই এ নিয়ে দলীয় বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন রাহুল। আজ দিল্লিতে তাঁর তুঘলক লেনের বাসভবনের বৈঠকেও এই নিয়ে আলোচনা হয়। গুজরাতের ভোটে প্রদেশ কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও কেউই জিততে পারেননি। শক্তিসিংহ গোহিল, সিদ্ধার্থ পটেল, অর্জুন মোডওয়াড়িয়া, তুষার মেহতা নিজের নিজের আসনে হেরে যান। এই আসনগুলিতে কংগ্রেস নেতারা জিতলে ভোটের ফল অন্য রকম হত। তাই রাজ্যের নেতাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়। পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, বহু জায়গায় কংগ্রেসের বুথ কমিটিও শক্তিশালী ছিল না। এক প্রদেশ কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘কংগ্রেস সভাপতি স্পষ্ট করে দেন, বহু জায়গাতেই সাংগঠনিক খামতি আছে। তা পূরণ করতে আরও কাজ করতে হবে। লোকসভা ভোটে পার্টি কী ভাবে মানুষের সামনে নিজেকে তুলে ধরবে, সেই রণকৌশল নিয়ে কথা হয়েছে।’’