মুম্বইয়ের মানুষ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেসের তাই বিরোধী আসনেই বসা উচিত বলে মনে করছেন রাহুল গাঁধী। শিবসেনা বা বিজেপি কেউই মুম্বই পুরসভায় একার ক্ষমতায় বোর্ড গঠনের মতো আসন পায়নি। তাই শিবসেনাকে সমর্থন করে কংগ্রেস ক্ষমতায় ভাগ বসাতে
পারে কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন কিছু কংগ্রেস নেতা। কিন্তু রাহুল তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন, মানুষ কংগ্রেসকে ভোট দেননি। তার পরেও ক্ষমতায় ভাগ বসাতে চাইলে কংগ্রেসের উপর মানুষ আরও চটবেন।
মুম্বই পুরসভায় খারাপ ফলের দায় নিয়ে গত কালই মুম্বই কংগ্রেসের প্রধান সঞ্জয় নিরূপম পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তব হল, কংগ্রেসের প্রায় কোনও নেতাই নিজেদের দুর্গ অটুট রাখতে পারেননি। শুধু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ইউপিএ সরকারের মন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণের জেলা সাতারায় কংগ্রেস ভাল ফল করেছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সুশীলকুমার শিন্ডের এলাকা শোলাপুর পুরসভা কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে। প্রয়াত বিলাসরাও দেশমুখের পুত্র অমিতের এলাকা লাতুরেও কংগ্রেসের ফল খুব খারাপ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক চহ্বাণ, কোঙ্কণের কংগ্রেস নেতা নারায়ণ রাণের এলাকাতেও কংগ্রেসের আসন কমেছে।
মুম্বইয়ের হারের জন্য সকলেই সঞ্জয় নিরূপমকে দায়ী করছেন। রাণের অভিযোগ, দলের জেতার মতো কোনও কাজই সঞ্জয় করেননি। কিন্তু সঞ্জয়ের পাল্টা যুক্তি, যে সব কংগ্রেস নেতারা দলের হয়ে প্রচারটুকুও করতে চাননি, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হবে! সঞ্জয়ের ইঙ্গিত, গুরুদাস কামাত, নারায়ণ রাণেদের দিকে। রাহুল কেন দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে উদ্যোগী হননি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মহারাষ্ট্রের ফল নিয়ে আজ মুম্বইয়ে কংগ্রেস নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন। দলের নেতারা বলেন, নোট নাকচের ধাক্কা, মরাঠা সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ, খরা কবলিত এলাকার কৃষকদের সমস্যা, ফসলের মূল্য নিয়ে ক্ষোভ— কোনও হাতিয়ারই কাজে লাগানো যায়নি। যে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জন্ম হয়েছিল, সেখানে তিন বছর আগে লোকসভায় মাত্র দু’টি আসন জেতে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক
চহ্বাণের মতে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ভাল ফল করতে হলে এখন থেকেই তৈরি হতে হবে। তার জন্য সাংগঠনিক ভাবে কংগ্রেসকে তৈরি থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy