নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিলের বিরোধিতায় প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর একটি চিঠিকে হাতিয়ার করল কংগ্রেস। ওই ধরনের নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও প্রধানমন্ত্রী মনোনীত এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়ে বিল পেশ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। গত মার্চ মাসে ওই নিয়োগে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে এড়িয়ে কমিশনকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে চাইছে বলে দাবি বিরোধীদের।
২০১২ সালে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে একটি চিঠি লিখেছিলেন আডবাণী। সেই চিঠিটি আজ টুইটারে পোস্ট করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মোদী সরকারের কোনও সমালোচক নয়, এই চিঠিটি লিখেছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। এখনও বিজেপির ওয়েবসাইটে চিঠিটি পাওয়া যাবে।’’
চিঠিতে আডবাণী লিখেছিলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সম্মতির ভিত্তিতে হওয়া উচিত, এই দাবির পক্ষে দেশে ক্রমশ জনমত গড়ে উঠছে। সে ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। পক্ষপাতিত্বের প্রশ্নও উঠবে না। নির্বাচন কমিশন ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দফতরের স্বাধীনতা বজায় রাখতে সেগুলিকে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’’ রমেশের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রের পেশ করা বিল কেবল আডবাণীর প্রস্তাব নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়েরও বিরোধী।’’ ২০২৪-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি অবসর নেবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অনুপচন্দ্র পাণ্ডে। ফলে আগামী বছরের গোড়ায় নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ পদ শূন্য হবে। লোকসভা ভোটের আগে এই বিল পাশ করিয়ে কেন্দ্র কমিশনকে ‘নিয়ন্ত্রণে’ আনতে চাইছে বলে দাবি কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)