ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা আজ ভাবেন, গোটা দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল তা ভাবে পরের দিন! পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-কে বিপুল ভাবে হারানোর পরে কেন্দ্রীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আজ কংগ্রেস সভা নেত্রী সনিয়া গাঁধী-সহ কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষ নেতা দাবি করেছেন ভিডিয়ো মাধ্যমে শুরু করা হোক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক। অতিমারি নিয়ে আলোচনার জন্য সম্মিলিত উদ্যোগের মঞ্চ হিসেবে তাকে ব্যবহার করা প্রয়োজন বলে মনে করছে কংগ্রেস। তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের বক্তব্য, “গত বছর জুলাই মাসে আমরাই প্রথম সংসদীয় কমিটির বৈঠকগুলি ভিডিয়ো মাধ্যমে চালু রাখার কথা বলি। তৃণমূল নেত্রী যা বলেন, পরে সমস্ত বিরোধী দল তাকে অনুসরণ করে। শুধু মুখে বলাই নয়, এই মর্মে আমরা লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে একটি চিঠিও দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কথায় কর্ণপাত করা হয়নি।” তাঁর বক্তব্য, আজ ফের কংগ্রেস যখন বিষয়টি তুলেছে, তখন তৃণমূলও তাকে সমর্থন করবে। প্রয়োজনে অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গেও আবার কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন ডেরেক।
তবে আজ স্থায়ী কমিটির বৈঠক চালু করার পাশাপাশি অক্টোবরে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির কোভিড সংক্রান্ত উদ্বেগকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্যও সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে কংগ্রেস। সনিয়ার কথায়, “অতিমারি মোকাবিলা সংক্রান্ত ব্যবস্থা নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তার রিপোর্টে এবং বিরোধী দলগুলি বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই বছরের গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী উদ্ধত ভাবে জানিয়েছিলেন, তিনি কোভিডকে পর্যুদস্ত করেছেন এবং তাঁর দল অনুগত ভাবে তাঁকে সর্ম্বধনা জানিয়েছিল সেই সাফল্যের জন্য!“ কংগ্রেস সভানেত্রীর মতে, “অবিলম্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হোক। তা হলে সামগ্রিক ভাবে অতিমারির মোকাবিলা করার দিশা পাওয়া যাবে।“ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাবেন। সেখানে বলা হবে, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সতর্ক করলেও কোভিড নিয়ে মোদী সরকার সক্রিয় হয়নি।
বৈঠকে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আজ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কাছে দাবি করেছেন, জনস্বার্থের সঙ্গে যুক্ত জরুরি বিষয়গুলি আলোচনার জন্য ভিডিয়ো মাধ্যমে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হোক। তাঁর কথায়, “এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যেগুলি জনস্বার্থের সঙ্গে যুক্ত এবং যেগুলি নিয়ে অবিলম্বে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। “আর এক কংগ্রেস নেতা শশী তারুরও রমেশের দাবি সমর্থন করে বলেছেন, “আমিও গত বছর একই অনুরোধ করেছিলাম। এই মুহূর্তে বৈঠকে শারীরিক ভাবে উপস্থিত থাকা অসম্ভব। অথচ ভিডিয়ো মাধ্যমেও আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy