—ফাইল চিত্র।
অসমে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাঙালি আবেগে ভর করে এগোতে চায় কংগ্রেস। সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী, শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব শুক্রবার বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে বাংলাভাষীদের দুর্ভোগ বাড়বে। কারণ সরকার হলফনামা দিয়ে শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, নতুন করে এনআরসি করতে চায় তারা।”
এক বার এনআরসি করতে গিয়ে মানুষের যে কী দুর্দশায় পড়তে হয়েছিল, সে সব স্মরণ করান সুস্মিতাদেবী। তিনি বলেন, “শিশু কোলে কত মাকে তিন-চারশো কিলোমিটার দূরে ছুটে যেতে হয়েছে নথি পরীক্ষার জন্য। নথিপত্র সংগ্রহ করতে গিয়েও হয়রানি সইতে হয়েছিল! রেহাই পাননি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও৷ গরু বিক্রি করে জমি বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করেছেন। দফায় দফায় গাড়ি ভাড়া করে এনআরসি-র জন্য ছুটোছুটি করেছেন। আরও একবার এনআরসি মানে আবারও সেই ছুটোছুটি, হুঁশিয়ার করেন সুস্মিতা।
আর কংগ্রেস সরকার গড়লে? তাঁর দাবি, এ ব্যাপারে দল ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা ক্ষমতায় এসে এনআরসি কার্যকর করবে। কিছু দোষত্রুটি থাকলে তা শোধরানোর উপায় বার করতে হবে।
সুস্মিতাদেবী বলেন, এনআরসি-কে ঝুলিয়ে রেখে এক দিকে যাদের নাম উঠে গিয়েছে, তাদের নতুন উৎকণ্ঠায় ফেলা হচ্ছে। অন্য দিকে এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লক্ষ মানুষকে নাগরিকত্বের দাবি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে যাঁরা প্রকৃত ভারতীয়, তাঁরা ফরেনার্স ট্রাইবুনালে গিয়ে নথিপত্র দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলে এনআরসি-ছুটদের মানসিক চাপ ক্রমে বাড়ছে।
এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এসে বলে গিয়েছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় আসাম চুক্তির ফসল। সুস্মিতা বলেন, বাস্তব একেবারে উল্টো। সোনোয়াল তখন আসুর নেতা হিসেবে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির চরম বিরোধী ছিলেন। আসাম চুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও উল্লেখই নেই। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা সোমবার শিলচরে এসে যে আসাম আন্দোলনের গুণগান করে গেলেন, এ নিয়ে সুস্মিতা বলেন, আসাম আন্দোলন ছিল বাঙালি-বিদ্বেষী। স্লোগান উঠেছিল, বাঙালি খেদাও। নিগৃহীত হয়েছিলেন কত বাংলাভাষী! বিজেপির বাঙালি ভোটাররা কি সে সব দিন ভুলে গেলেন, প্রশ্ন করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy