চার দিন কেটে গিয়েছে। এখনও খোঁজ নেই পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কনস্টেবলের! পটীওয়ালায় তাঁর গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, সেই গাড়ির মধ্যে চাপ চাপ রক্ত লেগে আছে। ওই রক্ত নিখোঁজ কনস্টেবলের না কি অন্য কারও, তা এখনও নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। ওই কনস্টেবলের খোঁজে নানা দিকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিখোঁজ কনস্টেবলের নাম সতীন্দর সিংহ। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ শেষ বার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। সতীন্দর জানিয়েছিলেন, তিনি থানা থেকে বার হয়েছেন। বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু রাত গড়িয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি সতীন্দর।
তাঁর পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন ওই কনস্টেবল। কিন্তু, দু’ঘণ্টা কেটে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে পরিবার। বার বার ফোন করেও লাভ হয়নি। ফোনও বন্ধ। পটীওয়ালার ভানরা গ্রামের কাছে সতীন্দরের গাড়ি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। গাড়ির মধ্যে রক্তের দাগ মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে কি সতীন্দরকে খুন করে দেহ অন্য কোথাও ফেলে দেওয়া হয়েছে, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। যে এলাকা থেকে পরিত্যক্ত গাড়ি মিলেছে, সেই এলাকার খালে ডুবুরি নামানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা কনস্টেবলের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছেন। ওই গাড়ি কোথায় কোথায় গিয়েছিল, সেই সব তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
পরিবারের সদস্যেরা জানান, আগে তিনি মোহালির তৎকালীন এসএসপি সন্দীপ গর্গের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। পরে সন্দীপকে যখন গোয়েন্দা বিভাগে পাঠানো হয়, তখন সতীন্দরেও ডিউটি পড়ে সেখানে। সতীন্দরের বাবা ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা জানি না কী ঘটেছে। কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না ওর। পুলিশের কাছে অনুরোধ, দ্রুত যেন তাঁকে খুঁজে বার করে।’’