নতুন প্রধান বিচারপতির শপথের দিনেই বিচার বিভাগের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হল। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিচারপতি হিসেবে সূর্য কান্ত রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নিলেন।
প্রধান বিচারপতি পদ থেকে বিদায়ের সময়ে বি আর গাভাই জানিয়ে গেলেন, গত অগস্টে গুজরাতের এক বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করা নিয়ে কলেজিয়ামের একমাত্র মহিলা বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন আপত্তি তুলেছিলেন। তাতে কোনও সারবত্তা ছিল না।বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হবেন। গত অগস্টে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চোলিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। যিনি আদতে গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ প্রবীণতম বিচারপতির কলেজিয়ামে একমাত্র বিচারপতি নাগরত্ন এ নিয়ে আপত্তি তোলেন। যুক্তি ছিল, গুজরাতের দু’জন বিচারপতি ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে রয়েছেন। কিন্তু এমন অনেক হাই কোর্ট রয়েছে, যেখানকার কোনও বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে নেই। সেই আপত্তির কথা প্রকাশ্যে চলে আসে। বিদায়বেলায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গাভাই জানিয়েছেন, ওই আপত্তিতে কোনও সারবত্তা ছিল না। তা হলে বাকিরা তা বিবেচনা করতেন।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, সোমবার প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়া সূর্য কান্তকে ২০১৮ সালে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট থেকে হিমাচলপ্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সময়ও আপত্তি উঠেছিল। সে সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ কে গোয়েল তৎকালীন প্রধানবিচারপতি দীপক মিশ্রকে চিঠি লিখে তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন। বিভিন্ন হাই কোর্টের প্রতিনিধিত্বের যুক্তি দিয়ে সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করা হয়। ২০১৯-এ তাঁকে যখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়, সে সময়েও সমস্ত হাই কোর্টের সমান প্রতিনিধিত্বের যুক্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত তাঁর পদে ১৫ মাস থাকবেন। ২০২৭-এর ফেব্রুয়ারিতেঅবসর নেবেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)