লামডিং-শিলচর ব্রডগেজে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু নিয়ে সংশয় ছড়িয়েছে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি, উত্তর-পূর্ব রেলের ডিআরএমের মন্তব্যে।
গত এপ্রিল মাস থেকে ওই লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু তা এখনও চালু হয়নি। কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি-র (সিআরএস) পরিদর্শন না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা চালুর সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু ইতিমধ্যে দু’টি পর্যায়ে লামডিং-নিউ হাফলং, শিলচর-নিউ হাফলং পর্যন্ত সিআরএস সুদর্শন নায়েকের পরিদর্শন সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর সবুজ সঙ্কেত এখনও মেলেনি। ২৩ জুন সিআরএস সুদর্শনবাবুর পাশে দাঁড়িয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ শাখার মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার (সিইও) অজিত পণ্ডিত জানিয়েছিলেন, অগস্টেই ওই লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে।
কিন্তু নিউ হাফলং-ডিটেকছড়ার মধ্যে ৩০ কিলোমিটার লাইনের নির্মাণকাজের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ সিআরএস। তিনি বলেন, ‘‘ওই অংশে প্রযুক্তিগত অনেক ত্রুটি রয়েছে। যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থাও গড়ে উঠেনি। এই পরিস্থতি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের উপযোগী নয়।’’ ওই ত্রুটি ঠিক না করা হলে যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর অনুমতি মিলবে না, তা তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ শাখার পক্ষ থেকে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথের কালাচাঁদ, মাইবাং, ওয়েড্রেনডিসা দাওটুহাজা স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম ও কর্মী আবাসন, পানীয় জলের পরিকাঠামো গড়তে ফের টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সিআরএস যে সব ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তা ঠিক করার কাজও শুরু করেছে রেলের নির্মাণ শাখা। ডিআরএম নীরজ কুমার জানিয়েছেন, ‘ডাইভারশন’ অংশের কাজ নিয়ে তিনিও তেমন খুশি নন। তাই তিনি চাইছেন, বর্ষা কেটে যাওয়ার পরই ব্রজগেজে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy