ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে সংসদে বিরোধীদের আলোচনার দাবি মানছে না নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা গোলমাল বাধিয়ে সংসদ অচল করে রাখলে, সেই হট্টগোলের মধ্যেই মোদী সরকার প্রয়োজনীয় বিল পাশ করিয়ে নেওয়ার রাস্তায় হাঁটতে পারে। আজ সেই ইঙ্গিত দিয়ে কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, ‘‘আমরা কোনও আলোচনা ছাড়া হট্টগোলের মধ্যে বিল পাশ করাতে চাই না। কিন্তু ২১ জুলাই সংসদে বাদল অধিবেশন শুরুর পর থেকে একটিও বিল পাশ হয়নি।’’
অধিবেশনের শুরু থেকেই বিরোধী শিবির বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছে। সরকার তা না মানায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময়টুকু বাদ দিয়ে সংসদ অচলই ছিল। আজ বিরোধীরা শিবু সোরেনের প্রয়াণের প্রেক্ষিতে সংসদে ধর্না না দিলেও সংসদ ভবনের সিঁড়িতে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের দেখা হওয়ার পরে তাঁকে বলেন, ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে আলোচনা করান। রাজনাথ কোনও আশ্বাস দেননি। স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠক করে বরফ গলানোর চেষ্টা করেন। তিনি যুক্তি দেন, ১৯৮০ সালে সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়ার দাবির ভিত্তিতে তদানীন্তন স্পিকার বলরাম জাখর নির্দেশ দিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ নিয়ে সংসদে আলোচনা হতে পারে না। নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বিরোধীরা প্রস্তাব দেন, আলোচনার বিষয় হিসেবে ভোটার তালিকা সংশোধন রাখার প্রয়োজন নেই। নির্বাচনী সংস্কার বিষয় হিসেবে রেখেই তাঁরা সমস্যার কথা তুলবেন। তাতে সরকার রাজি হয়নি। ফলে বিরোধীদের হট্টগোলে আজ লোকসভায় জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল ও জাতীয় ডোপিং প্রতিরোধ সংশোধনী বিল পাশ করানো যায়নি। কেন্দ্রের দাবি, অলিম্পিক্স আয়োজনের দাবি জানানোর জন্য এই দু’টি বিল জরুরি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)