সংক্রমণ লাগাতার বেড়ে চলায় লকডাউন নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে বিভিন্ন মহল থেকে লকডাউনের সুপারিশ আসছে। তার মধ্যেই দৈনিক করোনা সংক্রমণে নতুন নজির গড়ল কর্নাটক। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নতুন করে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি মানুষই রাজধানী বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। এর আগে, এক দিনে এত সংখ্যক মানুষের সংক্রমিত হওয়ার নজির নেই সেখানে।
সংক্রমণ লাগাতার বেড়ে চলায় এর আগে রাজ্য সরকারকে কড়া বিধিনিষেধের পাশাপাশি দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন করার পরামর্শ দিয়েছিল কোভিড সংক্রান্ত প্রযুক্তি উপদেষ্টা কমিটি (কর্নাটক টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি কমিটি অন কোভিড)। হাসপাতালগুলিতে শয্যার সংখ্যা বাড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছে তারা। বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার তরফে বিশেষ ‘কোভিড ওয়ার রুম’ চালু করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও যে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল ৫০ শতাংশ শয্যা কোভিড রোগীদের জন্য সংরক্ষণ করেনি, তাদের নোটিসও পাঠানো হয়েছে।
অন্যান্য রাজ্যের মতো কর্নাটকেও অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাম্প্রতিক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে সে কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। আপাতত ১৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন এবং ভাইরাল প্রতিরোধী রেমডেসিভির-এর ২ লক্ষ ভায়াল প্রয়োজন বলে মোদীকে জানান তিনি। আপাতত রাত্রিকালীন কার্ফু চলছে সেখানে। সপ্তাহান্তেও কার্ফু চালু করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া বাকি সমস্ত দোকানম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy