লকডাউনের জেরে তাঁদের জীবিকা শিকেয় উঠেছে। কবে আবার উপার্জনের রাস্তা খুলবে, জানা নেই। গোটা দেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিপন্ন দশা নিয়ে চর্চা। এই সঙ্কটের মধ্যেও করোনা-যুদ্ধে সহায়তার জন্য নিজের মজুরির টাকা থেকে সরকারি তহবিলে পাঁচ হাজার টাকা তুলে দিলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। রাজস্থান থেকে কেরলে কাজ করতে যাওয়া বিনোদ জাঙ্গিদের ওই অনুদানকে মানবিকতার অনন্য নজির বলে কুর্নিশ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর।
মার্বেল শ্রমিক বিনোদ অবশ্য কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকদের শিবিরে ছিলেন না। রাজস্থান থেকে কাজে গিয়ে কেরলেই তিনি থাকেন ১০ বছরেরও বেশি, সঙ্গে পরিবার। তাঁর সঙ্গে আর পাঁচ জন শ্রমিক কাজ করেন। বিনোদই ওই দলের হেডমিস্ত্রী এবং ঠিকাদার। তাঁর আস্তানা কাসারগোড় জেলার বাঙ্গালমের কাছে। কাসারগোড় কেরলের করোনা আক্রান্ত জেলাগুলির শীর্ষে। সরকারি আধিকারিক ও স্বেচ্ছাসেবীরা গিয়েছিলেন বিনোদের বাড়িতে খাদ্য ও জরুরি সামগ্রীর প্যাকেট দিতে। বিনোদের মনে হয়েছিল, বাকিদের জন্য তাঁরও কিছু করা উচিত। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কিছু করা যেতে। শেষ পর্যন্ত পুলিশই বিনোদকে নীলেশ্বর থানায় নিয়ে যায়। সেখানেই স্টেশন হাউস অফিসার এম এ ম্যাথিউয়ের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন তহবিলের জন্য পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি।
পুলিশের মাধ্যমেই বিনোদ বলেছেন, সরকারি সহযোগিতায় তাঁদের দিন চলছে। পাল্টা সহযোগিতা ‘কর্তব্য’ মনে করেই তিনি সরকারি তহবিলে টাকা দিয়েছেন। বিনোদকে কৃতজ্ঞতার বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারুরের কথায়, ‘‘কেরল অতিথি শ্রমিকদের দেখভাল করছে এবং তাঁরাও মন থেকে পাল্টা সহযোগিতা করছেন— এই কঠিন সময়ে এর চেয়ে মন ভাল করা খবর আর কিছু হয় না!’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)