Advertisement
E-Paper

এক বাজারেই সংক্রমণ ২৬০০ জনের! ভয়াবহ আতঙ্কের ছবি তামিলনাড়ুতে

স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বাজারের দোকানদার-খরিদ্দার এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার জনের টেস্ট করা হয়েছিল।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ১২:৪১
প্রতিদিন এমনই ভিড় জমে কোয়ম্বেদুর বাজারে। ছবি: পিটিআই

প্রতিদিন এমনই ভিড় জমে কোয়ম্বেদুর বাজারে। ছবি: পিটিআই

বাজারের ভিড় যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কতটা বিপজ্জনক ভাবে ছড়াতে পারে, তার প্রমাণ মিলল তামিলনাড়ুতে। একটি পাইকারি বাজারের সবাইকে টেস্ট করার পর ২৬০০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আরও অনেকের টেস্টের রিপোর্ট আসা বাকি রয়েছে। তাতে সংখ্যাটা যে আরও বাড়বে, তা কার্যত নিশ্চিত। ফলে প্রচণ্ড উদ্বেগে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আপাতত ওই বাজারকে করোনার হটস্পট ঘোষণা করে কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

চেন্নাই শহরের অদূরে কোয়মবেদু তামিলনাড়ুর বৃহত্তম পাইকারি বাজারের মধ্যে অন্যতম। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে বাজারে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর পর অন্যান্য এলাকার মতো এই বাজারেও জারি হয়েছিল সতর্কতা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা করার কথা বলেছিল প্রশাসন। কিন্তু সে সব উপেক্ষা করেই দিনের পর দিন চলেছে এই বাজার। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা তীব্র হয়। তাই বাজারে আসা সমস্ত মানুষের করোনার পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই টেস্টের রিপোর্ট আসার পরেই মাথায় হাত পড়েছে প্রশাসনের।

স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিক জে রাধাকৃষ্ণন জানিয়েছেন, ‘‘বাজারের দোকানদার-খরিদ্দার এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা সবার করোনা টেস্ট করা হয়েছিল। তাতে ২৬০০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। সব মিলিয়ে টেস্ট করা হয়েছিল প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার জনের।’’ তিনি আরও বলেন, বস্তি ও ঘনবসতি এলাকায় সংক্রমণ শৃঙ্খল আটকানোই এখন প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন রাধাকৃষ্ণন।

বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসেবে তামিলনাড়ুতে এই মুহূর্তে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯২২৭। মৃতের সংখ্যা ৬৪। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২১৭৬ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় তামিলনাড়ু দেশের মধ্যে বর্তমানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত সপ্তাহেই দিল্লিকে টপকে আক্রান্তের সংখ্যায় উপরে উঠে এসেছে। কোয়মবেদু বাজারে ২৬০০ জনের সংক্রমণ সেই পরিসংখ্যানে বড় ভূমিকা নিয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রাধাকৃষ্ণনের আশ্বাস, রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কোভিডের চিকিৎসা করার মতো বেড বা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও পরিকাঠামোর অভাব নেই। তবে সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩০ জুন পর্যন্ত সমস্ত ট্রেনের টিকিট বাতিল, চলবে স্পেশাল ট্রেন

আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজার ছাড়াল, ২৬ হাজার আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে

Coronavirus Coronavirus in India Covid-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy