Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

ভাইরাস ভয়! উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বাতানুকুল কামরায় দেওয়া হবে না কম্বল

রেলের বাতানুকুল কামরায় দেওয়া কম্বল ধোয়া হয় ১৫ দিনে একবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০ ০২:৩৬
Share: Save:

করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে কোপ পড়তে চলেছে ট্রেনের পর্দা, কম্বলেও। বাতানুকুল কামরায় ব্যবহৃত পর্দা ও যাত্রীদের দেওয়া কম্বল রোজ ধোয়া হয় না বলে রেল সূত্রে দাবি। সেগুলি থেকে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় রবিবার থেকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সব বাতানুকুল কামরায় পর্দা এবং কম্বল আপাতত তুলে দেওয়া হল। অনির্দিষ্টকালের জন্য সেই নির্দেশ বহাল থাকছে বলেই জানিয়েছেন রেলের কর্তারা। বাতানুকুল কামরায় দেওয়া শুরু হয়েছে স্যানিটাইজ়ার। রেলকর্মীদের হাতেও দেওয়া হয়েছে তা।

রেলের বাতানুকুল কামরায় দেওয়া কম্বল ধোয়া হয় ১৫ দিনে একবার। তাই তা থেকে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায় তার জন্য আগাম সাবধানতা অবলম্বন করল রেল কর্তৃপক্ষ। রবিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, কম্বল এবং পর্দা এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। তবে কম্বল কামরায় রাখা থাকবে। কোনও যাত্রী যদি নিতান্তই চান, তাঁকে কম্বল দেওয়া হবে।’’ রেলকর্তারা জানান, সেরকম মনে হলে যাত্রীরা নিজেদের কম্বল বাড়ি থেকেও নিয়ে আসতে পারেন।

রেল সূত্রে দাবি করা হয়, কম্বল প্রতিবার ধোয়া না গেলেও বাতানুকুল কামরার যাত্রীদের দেওয়া আরও তিনটি জিনিস—আসনে পাতার চাদর, বালিশের ঢাকনা এবং তোয়ালে প্রতিবার ব্যবহারের পরে কাচা হয়। তাই সেগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নেই। সেগুলি আগের মতোই চলবে। কম্বল না থাকায় যাত্রীদের সুবিধার জন্য বাড়তি বিছানার চাদর কামরায় মজুত রাখা থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্তারা।

গত সপ্তাহ থেকেই রেলের বাতানুকুল কামরায় যাত্রীদের জন্য স্যানিটাইজ়ার দেওয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ওই কামরার দায়িত্বে থাকা রেলকর্মী তথা কোচ অ্যাটেন্ডেন্টদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে জীবাণু তাড়ানোর স্প্রে। রেল কর্তারা জানান, বেসিনের নব, দরজার হাতলের মতো জায়গায় নিয়মিতভাবে তা ছড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেনের কামরা বড় স্টেশনে এলে সেগুলিকে ধোয়ার পরে আলাদাভাবে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। তার জন্য রেলের তরফে আলাদা কর্মীদের দল নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলকর্তারা।

যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এনজেপি, কামাখ্যা, মালিগাঁও, কাটিহারের মত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি করে দল থাকছে বলে দাবি করা হয়েছে রেল সূত্রে। এছাড়াও ওই স্টেশনগুলিতে ট্রেনের ঘোষণার

সঙ্গে সঙ্গেই চলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোখার বিষয়ে সচেতনতার প্রচারও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE