প্রতীকী ছবি।
করোনা আক্রান্ত অবস্থায় হাথরসে নিহত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার অভিযোগে দিল্লির এক আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় ওই বিধায়ক তরুণীর বাড়ি ঢুকছেন, সঙ্গে পুলিশবাহিনী ও দলের অনেকে। যদিও কুলদীপ কুমার নামে ওই বিধায়কের দাবি, করোনামুক্ত হওয়ার পরেই হাথরসে গিয়েছিলেন তিনি। আবার সম্প্রতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে নয়া কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামা পঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিংহ সিধু করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরেও উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ, গত সোমবার ‘খেতি বাঁচাও যাত্রা’ নামে ওই প্রতিবাদ সভায় রাহুলের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের আরও অনেক নেতা। বিশেষজ্ঞরা সাবধান করছেন, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ৬৮ লক্ষ ছুঁইছুঁই, সেখানে নেতা-মন্ত্রীদের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ বিপদ আরও বাড়াচ্ছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর কুলদীপ টুইট করে জানিয়েছিলেন তিনি করোনা পজ়িটিভ। গৃহ নিভৃতবাসে রয়েছেন। তার ৫ দিনের মাথায় কুলদীপ ভিডিয়ো করে জানান, দিল্লি থেকে হাথরসে নিহত তরুণীর বাড়িতে গিয়েছেন তিনি। অন্য একটি ভিডিয়োতে আবার দেখা গিয়েছে, পরিবারের সদস্যদের কাছাকাছি বসে কথা বলছেন কুলদীপ। তাঁকে ঘিরে ছোট্ট একটি ঘরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনেকে। যদিও কুলদীপের দাবি, সুস্থ হওয়ার পরেই হাথরসে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বিধি অনুযায়ী করোনা-আক্রান্ত হওয়ার পরে যেখানে ১৪ দিনের নিভৃতবাস আবশ্যিক সেখানে পাঁচ দিনের মাথাতেই দলবল নিয়ে রাজধানীর ২০০ কিলোমিটার দূরে হাথরসে কোন যুক্তিতে গেলেন কুলদীপ।
এ দিকে, এক দিনে দেশে ৭২ হাজারের বেশি মানুষ করোনা-আক্রান্ত হলেও, এখনও ৮৫.২ শতাংশ সুস্থতার হারকেই ঢাল করতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৮৬ জনের মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেওয়ার পাশাপাশি মন্ত্রক এ-ও জানাচ্ছে, অ্যাক্টিভ কেসের তুলনায় দেশে এখন সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৪৮ লক্ষ বেশি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল আজ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের ধাক্কা কাটিয়ে রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কেজরী বলেছেন, ‘‘গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ শীর্ষ ছুঁয়েছিল। এক দিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন সাড়ে ৪ হাজার। অবস্থা এখন অনেকটাই সামলানো গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন:হাথরসে যেতে চেয়ে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ সাংবাদিক
১৩০ বছরের ইতিহাসে প্রথম একটানা ছ’মাসের বিরতির পরে, মুম্বইয়ে ফের পুরোদমে কাজ শুরু করছেন ডাব্বাওয়ালারা। রেল দফতর আজ জানিয়েছে, জরুরি বিভাগের কর্মীদের জন্য যে ট্রেন চলছে, তাতে ডাব্বাওয়ালা ও কনস্যুলেট কর্মীদের ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এত দিন দক্ষিণ মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় সাইকেল করে খাওয়ার পৌঁছে দিচ্ছিলেন ডাব্বাওয়ালারা।
আরও পড়ুন: ‘ব্যর্থতা’ ঢাকতেই কি বিশ-প্রচার প্রধানমন্ত্রী মোদীর
মুম্বইয়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি ডাব্বাওয়ালা রয়েছেন। কোভিডের আগে তাঁরা অন্তত ২ লক্ষ অফিসযাত্রীকে খাবার সরবরাহ করতেন। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে ডাব্বাওয়ালা সংগঠনের মুখপাত্র সুভাষ তেলেকর বলেছেন, ৬ মাস বাদে আবার পরিষেবা শুরু করতে পেরে আমরা খুশি। কোভিডের আগে এক এক জনের ২০ থেকে ২২ জন খদ্দের ছিল। তবে এখন অনেকেই বাড়ি থেকে কাজ করায় খদ্দেরের সংখ্যা কমবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy