Advertisement
E-Paper

CPM survey: দিল্লিবাসীর দুর্দশা-চিত্র ধরা পড়ল সিপিএমের সমীক্ষায়

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২১ ০৭:৫৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী গাজিয়াবাদের ৬৫ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন। কাজ হারানো মানুষের সাহায্যে বিনামূল্যে বাড়তি রেশনের বন্দোবস্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজধানীর অর্ধেক মানুষের কাছে রেশন কার্ডই নেই। যাঁদের কাছে রেশন কার্ড রয়েছে, তাঁদের পরিবারের সকলে রেশন পাননি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে রুটিরুজি কমে যাওয়ার এপ্রিল-মে মাসে মানুষের যত আয় হয়েছে, কোভিড আক্রান্তদের তার থেকে অনেক বেশি খরচ করতে হয়েছে। সিপিএমের উদ্যোগে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এপ্রিল-মে মাসে করা এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক বিকাশ রাওয়াল এই সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ঠিকা কর্মী, স্বনির্ভর, ছোট ব্যবসায়ীদের মধ্যে রুটিরুজি হারানো মানুষের হার সব থেকে বেশি।’’

কোভিডের প্রথম ধাক্কার সময় দিল্লি থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরেছিলেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দিল্লির গরিব, খেটে খাওয়া বাসিন্দারা কেমন ছিলেন, তা জানতেই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষায় গরিব মানুষের দুর্দশার ছবি উঠে আসায় আজ সিপিএমের তরফে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে চিঠি লিখে গরিব, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য নগদ সাহায্যের আর্জি জানানো হয়েছে।

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট বলেন, ‘‘দিল্লির ৫৪ শতাংশ পরিবারের রেশন কার্ড নেই। তাঁর ফলে তাঁরা গণবন্টন ব্যবস্থার সুবিধাই পাননি। যে সব স্থায়ী কর্মীরা গত বছর কাজ হারিয়েছিলেন, তাঁরা পরে কাজ ফিরে পেলেও তাঁদের অস্থায়ী বা ঠিকা কর্মী হিসেবে, কম বেতনে নিয়োগ করা হয়েছে। কোভিড আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এপ্রিল-মে মাসে যা আয় হয়েছে, তার ৬৮ শতাংশ চিকিৎসায় বেরিয়ে গিয়েছে। তা-ও হাসপাতালে ভর্তি না-হয়েই।’’ বৃন্দার প্রশ্ন, যদি দেশের রাজধানীতেই এই অবস্থা হয়, তা হলে বাকি শহরে কী অবস্থা! তাঁর অভিযোগ, এ বিষয়ে মোদী সরকার কোনও সমীক্ষাই চালায়নি। চোখ বুজে থেকে মোদী সরকার ভাবছে, গরিবদের কোনও সমস্যা নেই।

Delhi COVID 19 Corona Virus in India
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy