Advertisement
১১ মে ২০২৪
Srinivas BV

কংগ্রেসের কোভিড ত্রাতাকে প্রশ্ন শাহের পুলিশের

দিল্লিতে আম আদমি পার্টির বিধায়ক দিলীপ পাণ্ডেও একই ভাবে নিজের উদ্যোগে বহু মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছিলেন

—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২১ ০৫:৫১
Share: Save:

অক্সিজেন মিলছে না? শ্রীনিবাস বি ভি-কে টুইট করলে কিছু না কিছু সাহায্য মিলবে। হাসপাতালে ভর্তি কোভিড রোগীর জন্য ইঞ্জেকশনের অভাব? যুব কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবকদের বললে জোগাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করে দিতে পারে। কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু দাহ করার মতো কেউ নেই? শ্রীনিবাস নিজেই ছুটলেন শ্মশানে সৎকারের দায়িত্ব নিতে। কোনও পরিবারে সবাই কোভিড আক্রান্ত, খাবার মিলবে কোথা থেকে? খবর পেয়ে শ্রীনিবাসের দলবল খাবারের প্যাকেট নিয়ে হাজির।

গত দেড়-দু’মাস ধরে শুধু দিল্লি নয়, গোটা দেশে হাজার হাজার কোভিড আক্রান্ত মানুষের কাছে পৌঁছনো যুব কংগ্রেসের সদর দফতরে আজ চড়াও হল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সভাপতি শ্রীনিবাস বি ভি-কে প্রায় আধ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হল, কোথা থেকে তাঁরা সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য অক্সিজেন, ওষুধ ও অন্যান্য জিনিসপত্র জোগাড় করছেন?

শুধু শ্রীনিবাস নয়। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির বিধায়ক দিলীপ পাণ্ডেও একই ভাবে নিজের উদ্যোগে বহু মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছিলেন। গত দু’দিনে তাঁকেও একই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দিল্লি পুলিশ। জেরা করা হয়েছে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি আলি মেহদি, প্রাক্তন বিধায়ক মুকেশ শর্মাকেও।

এখানেই শেষ নয়। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শাহিদ সিদ্দিকী তাঁর কোভিড আক্রান্ত স্ত্রী-র জন্য রেমডেসিভিয়ার ইঞ্জেকশন জোগাড় করতে না-পেরে টুইটারে সাহায্য চেয়েছিলেন। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ও মুকেশ শর্মা তাঁকে ইঞ্জেকশন পৌঁছে দেন। রাহুল গাঁধী কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরে তাঁর জন্য রেমডেসিভিয়ার কেনা হয়েছিল। তা বেঁচে যাওয়ায় সেটাই শাহিদের স্ত্রী-কে দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। আজ দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসারেরা শাহিদের বাড়িতে গিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি কোথা থেকে দু’টো রেমডেসিভিয়ার ইঞ্জেকশন পেলেন!

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রকাশ্যে আসেননি। প্রধানমন্ত্রী আজ পিএম-কিসান প্রকল্পের অনুষ্ঠানে কোভিড নিয়ে মুখ খুলেছেন। কিন্তু অমিত শাহ এ বিষয়ে মুখ খোলা দূরের কথা, প্রকাশ্যেই আসেননি। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাগেশ কারিয়াপ্পা অমিত শাহের নামে দিল্লি পুলিশের কাছে ‘মিসিং ডায়েরি’ করেন। আজ আবার প্রধানমন্ত্রীর নামেও ‘মিসিং ডায়েরি’ হয়েছে। তার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন কংগ্রেস নেতারা।

আজ কংগ্রেস নেতৃত্ব মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, নরেন্দ্র মোদী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE