ফাইল চিত্র।
অবিলম্বে প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র— এই দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোলা চিঠি লিখলেন দেশের ১১৬ জন প্রাক্তন আমলা। এই খোলা চিঠিতে তাঁরা শহর ও গ্রামাঞ্চলে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার হার আরও বাড়ানোর দাবিও তুলেছেন।
যে প্রাক্তন আমলারা এই খোলা চিঠি লিখেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব কে এম চন্দ্রশেখর, প্রাক্তন স্বাস্থ্য সচিব কে সুজাতা রাও, দিল্লির প্রাক্তন গভর্নর নজীব জং এবং দেশের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন বিদেশ সচিব শিবশঙ্কর মেনন। তাঁরা লিখেছেন, ‘‘এই অতিমারি সারা পৃথিবীর মানুষকে সন্ত্রস্ত করে তুলেছে। আমরা জানি, ভারতবাসীরাও এর হাতে থেকে রেহাই পাবেন না। দেশে এখন মৃত্যুমিছিল। কিন্তু এই অসংখ্য মৃতদেহের ছবি বা স্বজনহারাদের হাহাকার বা চিকিৎসার জন্য করুণ আর্তি, এই সবে আমরা যত না বিচলিত হচ্ছি, তার থেকে ঢের বেশি বিচলিত হচ্ছি আপনার সরকারের গা-ছাড়া মনোভাব দেখে।’’ চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝখানে যে সময়টা পাওয়া গিয়েছিল, সেটা ব্যবহার করে আগাম কোনও পরিকল্পনাও ছকে রাখা হয়নি। প্রাক্তন আমলারা লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রতিষেধক উৎপাদনকারী। আর এ দেশেই টিকার এই আকাল। এর থেকে দুঃখের আর কী হতে পারে!’’
বিনামূল্যে দেশবাসীকে প্রতিষেধক দেওয়ার দাবিতে আজ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম-ও। আজ সংস্থার পক্ষ থেকে চিঠি লিখে দ্রুত দেশের সব মানুষকে যাতে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা হয়, তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নতুন টিকা নীতিতে আমজনতা— যাদের বয়স ১৮-৪৪ বছরের মধ্যে— তাদের যাতে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে বেশি দামে প্রতিষেধক কিনতে না-হয়, তার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে। ওই কাজে সরকারের টিকা খাতে বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করার উপরে জোর দিয়েছেন চিকিৎসকদের ওই সংগঠন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy