কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। ছবি পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করে রেখেছেন করোনার প্রতিষেধক এলে তা সব দেশবাসীকে দেওয়া হবে। আগামিকাল তিনি করোনা পরিস্থিতি ও টিকাদানের প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করবেন। ঠিক তার আগে, কোন টিকা বাছবে সরকার, কাদের কত দিনে তা দেওয়া হবে, এমন সব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে চারটি প্রশ্ন রাখলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী।
এক টুইটে আজ রাহুল লিখেছেন, “দেশবাসীকে এগুলি জানাতেই হবে প্রধানমন্ত্রীকে।” তাঁর প্রশ্নগুলি হল: (১) সম্ভাব্য টিকাগুলির মধ্যে কোনটিকে বেছে নেবে সরকার? কিসের ভিত্তিতে? (২) কারা টিকা আগে পাবেন? বণ্টনের নীতি কী হবে? (৩) বিনামূল্যে টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে কি পিএম-কেয়ারস তহবিলের টাকা ব্যবহার করা হবে? (৪) কত দিনে সব ভারতীয় টিকা পাবেন?
রাহুলের প্রশ্নওয়াড়ি জবাব না-দিলেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন আজ এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়গুলির কিছু কিছু ছুঁয়ে গিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারত আগামী বছর মার্চের মধ্যে করোনার টিকা পেয়ে যাবে বলে তাঁদের আশা। সে ক্ষেত্রে ২০২১-এর সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৫-৩০ কোটি ভারতবাসীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। হর্ষের বক্তব্য, বিশ্বে করোনার অন্তত ২৫০টি সম্ভাব্য টিকা নিয়ে গবেষণা চলছে। ভারতেই তার ৫টির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। টিকার কার্যকারিতা এবং রোগীর নিরাপত্তার দিকটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।টিকা কাদের প্রথমে দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। এ ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন হর্ষ। জানিয়েছেন, প্রথম পর্বে টিকা দেওয়া হবে করোনা যোদ্ধাদের। তাঁদের নামের তালিকাও প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশ, আধাসেনা, জীবাণুনাশের কাজে যুক্ত ব্যক্তিরা এবং ৬৫ বছরের বেশি যাঁদের বয়স, তাঁরাও রয়েছেন প্রথম তালিকায়। দ্বিতীয় পর্বে ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক এবং কো-মর্বিডিটি আছে, এমন রোগীদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy