প্রতীকী ছবি।
ভারতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পাওয়া তৃতীয় করোনা টিকা স্পুটনিক-ভি আগামী মাস থেকেই আমদানি শুরু হবে। জুনের শেষ বা জুলাইয়ের গোড়া থেকে দেশেই উৎপাদন শুরু হতে পারে রাশিয়ায় তৈরি এই টিকার। ভারতে স্পুটনিক-ভি-র ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ ও বণ্টনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ‘ডক্টর রেড্ডি’জ ল্যাব’ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।
অক্সফোর্ড-সেরাম ইনস্টিটিউট-এর কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক-এর কোভ্যাক্সিনের পর তৃতীয় টিকা হিসেবে চলতি সপ্তাহেই ‘রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’ (আরডিআইএফ)-এর স্পুটনিক-ভি ভারতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। আরডিআইএফ জানিয়েছে বিশ্বের ৬০তম দেশ হিসেবে ভারত স্পুটনিক-ভি ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে।
আরডিআইএফ জানিয়েছে, ভারতে করোনা টিকা উৎপাদনের জন্য ইতিমধ্যেই ৫টি সংস্থার সঙ্গে রেড্ডি’জের চুক্তি হয়েছে। এগুলি হল, স্টেলিস বায়োফার্মা, গ্ল্যান্ড ফার্মা, হেটেরো বায়োফার্মা, প্যানাসিয়া বায়োটিক এবং ভিরচো বায়োটেক। আরডিআইএফ-এর প্রধান কিরিলি দিমিত্রিয়েভ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘এই গ্রীষ্মে প্রতি মাসে অন্তত ৫ কোটি করোনা টিকা উৎপাদন করা আমাদের লক্ষ্য।’’
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা দু’লক্ষে পৌঁছে গিয়ে নয়া রেকর্ড গড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশে করোনা টিকার উৎপাদন চাহিদার তুলনায় কম। ফলে সমস্যায় পড়েছে সরকার। সমস্যা সামাল দিতে প্রাথমিক ভাবে ফাইজার ও মডার্নার টিকার দিকে নজর দিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কিন্তু ভাইরাসের ম্যাসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ-র উপর ভিত্তি করে তৈরি এই কোভিড প্রতিষেধকগুলিকে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের চেয়ে অনেক কম তাপমাত্রায় রাখতে হয়। স্পুটনিক ভি-র জন্য বর্তমান কোল্ড চেন পরিকাঠামোই যথেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy