Advertisement
E-Paper

৭ মাসে সর্বনিম্ন আক্রান্ত দেশে

দিল্লি ক্রমশ ‘হার্ড ইমিউনিটি’ গঠনের দিকে এগোচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পঞ্চম সেরো সার্ভের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৫০ শতাংশ দিল্লিবাসীর দেহেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:১০
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১০২ জন।

২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১০২ জন। ছবি: সংগৃহীত।

গত সাত মাসের মধ্যে দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মঙ্গলবার সবচেয়ে কম বলে দাবি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১০২ জন। করোনা মোকাবিলার প্রথম দফার লড়াইয়ে কেরল মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমাতে পারলেও বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক এই রাজ্যেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রক মনে করছে, যথেষ্ট মাত্রায় কোভিড পরীক্ষার ঘাটতির কারণেই বিপদ বেড়েছে কেরলের। রাজ্যে ১৫ শতাংশ ভেন্টিলেটরই করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। আইসিইউতে ভর্তির হার ৪৯ শতাংশ।

গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনেই থাকায় পুলিশ, সিভিক পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতো ‘ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের’ কোভিডের প্রতিষেধক দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। সোমবার রাতে এই নিয়ে চিঠি লিখে কেন্দ্রের পরামর্শ চেয়েছে অন্ধ্র সরকার যাতে একাধারে টিকাকরণ ও অন্য দিকে ভোট পরিচালনার কাজ সমান্তরাল ভাবে এগোয়। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যসচিব আদিত্য নাথ দাস জানিয়েছেন, অন্ধ্রে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। যেখানে দায়িত্ব থাকবেন পাঁচ লক্ষ কর্মী। চাপ সবচেয়ে বেশি পুলিশকর্মীদের। তাঁরা সংখ্যায় ৭৩ হাজার ১৮৮ জন হলেও দায়িত্ব নিতে হবে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ভোটকেন্দ্রের। অর্থাৎ, এক জন পুলিশকে তিনটি কেন্দ্রে কাজ করতে হবে। আদিত্য নাথ দাস লিখেছেন, ‘‘পুলিশকর্মীদের এমন জায়গায় গিয়ে কাজ করতে হবে যা তাঁদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে। ফলে নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক নিতে পারবেন না তাঁরা। আবার প্রথম ডোজ় নিলেও দ্বিতীয় ডোজ়টি নিতে ওই একই কেন্দ্রে ফিরতে পারবেন না তাঁরা। তা ছাড়া, প্রতিষেধক নেওয়ার পরে কিছু সময় সেই ব্যক্তিকে নজরে রাখার বিষয়ও রয়েছে।’’ চলতি মাসের শুরুতেই অন্ধ্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার রমেশ কুমার। যে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমে হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় জগনমোহন রেড্ডি সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের আর্জি খারিজ করে জানিয়েছে, অতিমারি সত্ত্বেও বহু রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে সাম্প্রতিক কালে।

এ দিকে, দিল্লি ক্রমশ ‘হার্ড ইমিউনিটি’ গঠনের দিকে এগোচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পঞ্চম সেরো সার্ভের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৫০ শতাংশ দিল্লিবাসীর দেহেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ১১ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে এই সার্ভে করে দিল্লি সরকার। ১১টি জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয় ২৮ হাজার নমুনা। দেখা গিয়েছে, ১০টি জেলায় ৫০ শতাংশ মানুষের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবং একটি জেলায় ৬০ শতাংশের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ তাঁরা নিজের অজান্তেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দিল্লি সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দিল্লির জনসংখ্যা ২ কোটির বেশি সেক্ষেত্রে সেরো সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন।

Corona Coronavirus Coronavirus in India
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy