Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Coronavirus in India

২৪ ঘণ্টায় রোগী ৩০ হাজারের কম

বিজ্ঞানীদের একাংশ এর আগে বলেছিলেন, দুর্গাপুজোর পরে করোনাভাইরাসের ১৪ দিনের ‘ইনকিউবেশন পিরিয়ড’ পেরিয়ে গিয়েছে।

দেশের করোনা পরিসংখ্যান। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

দেশের করোনা পরিসংখ্যান। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪২
Share: Save:

দুর্গাপুজো এবং দীপাবলির পরে দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ল কি না, আগামী কয়েক দিনে তা স্পষ্ট বোঝা যাবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।

বিজ্ঞানীদের একাংশ এর আগে বলেছিলেন, দুর্গাপুজোর পরে করোনাভাইরাসের ১৪ দিনের ‘ইনকিউবেশন পিরিয়ড’ পেরিয়ে গিয়েছে। তার পরে দেখা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণ সে ভাবে লাফিয়ে বাড়েনি। ফলে পুজো নিয়ে আদালতের কড়াকড়িতে আখেরে লাভ হয়েছে বলে তাঁদের মত। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এ নিয়ে এখনই কোনও চূড়ান্ত মন্তব্য করেননি।

আশার কথা হল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণের নিরিখে গত চার মাসের মধ্যে আজই প্রথম বার সংখ্যাটা ৩০ হাজারের নীচে নেমেছে। শেষ বার এমন হয়েছিল গত ১৫ জুলাই। সে দিন সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২৯,৪২৯। গত ২৪ ঘণ্টায় সংখ্যাটা তার চেয়েও কম, ২৯,১৬৩। একই সময়ে সুস্থের সংখ্যা সেখানে ৪০,৭৯১। মৃত্যু ৪৪৯টি। বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, গত ১০ দিন ধরে দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নীচে রয়েছে। একই ভাবে, টানা সাত দিন ধরে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা রয়েছে পাঁচ লক্ষের নীচে। এখন অসুস্থের সংখ্যাটা মোট সংক্রমিতের মাত্র ৫.১১ শতাংশ। সুস্থতার হার পৌঁছে গিয়েছে ৯৩.৪২ শতাংশে। মৃত্যুহার নেমেছে ১.৪৭ শতাংশে। মোট সুস্থের সংখ্যা ৮৩ লক্ষ ছুঁইছুঁই করছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০ লক্ষ পেরিয়েছিল গত ১৬ সেপ্টেম্বর। তা ৬০ লক্ষ পেরোয় ২৮ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ ১২ দিনে। সংখ্যাটা ৭০ লক্ষ পেরোয় ১১ অক্টোবর (১৩ দিনে), ৮০ লক্ষ পেরোয় ২৯ অক্টোবর (১৮ দিনে)। তার পরে আজ ১৯ দিন পেরোলেও তা ৯০ লক্ষ ছোঁয়নি। অথচ গত কালও প্রায় সাড়ে আট লক্ষ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, মোট পরীক্ষার সংখ্যা সাড়ে ১২ কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ সারা দেশের নিরিখে সংক্রমণের গতি কমছে বলেই আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

তবে এই আশার মধ্যেই আশঙ্কার কাঁটা হয়ে রয়ে গিয়েছে দিল্লি। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে রাজধানীতে যে হারে রোগী বাড়ছে, তাতে প্রয়োজনে বাজার বন্ধ রাখার জন্য কেন্দ্রের অনুমতি চেয়েছে

দিল্লি সরকার। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, ‘‘কিছু বাজারে পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি মানা হচ্ছে না এবং সেগুলি স্থানীয় কোভিড হটস্পট হয়ে ওঠার মুখে। কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠাচ্ছি, যাতে রাজ্য সরকার প্রয়োজনে এই বাজারগুলি কিছু দিনের জন্য বন্ধ করে দিতে পারে। তবে আশা করব, বাজারগুলিতে ভিড় কমবে এবং সেগুলিকে বন্ধ করার প্রয়োজন পড়বে না।’’ কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিয়েবাড়িতে ২০০ জন পর্যন্ত নিমন্ত্রিতের সংখ্যায় ছাড় দিয়েছিল দিল্লি সরকার। কিন্তু এ দিন কেজরীবাল জানিয়ে দেন, তা কমিয়ে আবার ৫০ জন করার জন্য উপ-রাজ্যপালের সম্মতি চেয়ে রাজ্য সরকারের তরফে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in India Covid-19 Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE