প্রতীকী ছবি।
ভারতে ১৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন বলে আজ জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭,৩৮১ জন। ফলে সুস্থ হওয়ার হার দাঁড়িয়েছে ৭১.৬১ শতাংশে। করোনা থেকে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১৮,০৮,৯৩৬ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮,৬৮,৬৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলে শুক্রবার থেকে দেশে মোট হওয়া নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৫ লক্ষে। অন্য দিকে দেশে ওই সময়ে নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫,০০২ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫,২৬,১৯২ জনে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সুস্থ হওয়ার হার দেশের গড় সুস্থ হওয়ার হারের চেয়ে বেশি। ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্থ হওয়ার হার ৫০ শতাংশের বেশি।
সুস্থ হওয়ার হারে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে দিল্লি। সেখানে ওই হার ৮৯.৮৭ শতাংশ। তামিলনাড়ুতে তা ৮১.৬২ শতাংশ। গুজরাতে সুস্থ হওয়ার ৭৭.৫৩ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশে ৭৪.৭০ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গে ৭৩.২৫ শতাংশ, রাজস্থানে ৭২.৮৪ শতাংশ, তেলঙ্গানায় ৭২.৭২ শতাংশ এবং ওড়িশায় ৭১.৯৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির যৌথ উদ্যোগের ফলেই এই সাফল্য পাওয়া গিয়েছে।
এ দিকে দেশে ৭৩ ধরনের করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষকদের একটি দল। সিএসআইআর-ইনস্টিটিউট অব জেনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি, ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস ও এসইউএম হাসপাতালের গবেষকেরা ১,৫৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করেছেন। গবেষক দলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা জয়শঙ্কর দাস বলেন, ‘‘বি ১.১১২ ও বি ১.৯৯ নামে দু’ধরনের করোনাভাইরাস এই প্রথম ভারতে দেখা গিয়েছে।’’ তাঁর মতে, নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকৃতি জানতে পারলে রোগীদের সুস্থ করার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
তবে রাজধানীতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনই স্কুল খুলতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আজ স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘‘দু’মাস আগের চেয়ে দিল্লির করোনা পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সে জন্য করোনা যোদ্ধা ও অন্য সকলকে ধন্যবাদ। তবে এখনই স্কুল খোলার প্রশ্ন নেই। পড়ুয়াদের সুরক্ষা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’
দেশে অ্যাক্টিভ রোগী
৬,৬৮,২২০
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত
৬৫,০০২
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ
৫৭,৩৮১
২৪ ঘণ্টায় মৃত
৯৯৬
সূত্র: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy