প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
করোনাভাইরাসের ফলে অর্থনীতিতে যে প্রচণ্ড ধাক্কা লাগছে, তা মেনে নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘যুদ্ধকালীন তৎপরতা’-য় এর মোকাবিলার ডাক দিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে আজ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, ২১ দিনের লকডাউনের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিটি মন্ত্রককে ১০ দফা সিদ্ধান্ত চিহ্নিত করতে হবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ১০টি এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি, এই সঙ্কট বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে অন্য দেশের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই তার উৎপাদন শুরু করার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প সফল করারও সুযোগ এনে দিয়েছে।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, লকডাউনের ফলে রুটিরুজি নিয়ে সঙ্কটে পড়া মানুষের কথা ভেবে দ্বিতীয় ত্রাণ প্রকল্পের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। লকডাউনের পরে কর জমার মতো কিছু ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়িয়ে বেশ কিছু সুরাহার ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। লকডাউনের ফলে রুটিরুজি হারানো মানুষের সুরাহাতেও ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্রকল্প নামের ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা হয়। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, তা যথেষ্ট নয়। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের মতো অনেকেই দ্বিতীয় দফায় ত্রাণ প্রকল্পের দাবি তুলেছেন।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রথম প্রকল্পে মূলত গরিব, চাষি, মজুর, মহিলাদের মতো প্রান্তিক মানুষের জন্য সুরাহার বন্দোবস্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস ও লকডাউনের জেরে যে সব ক্ষেত্র ধাক্কা খেয়েছে, সেই ক্ষেত্রগুলির ক্ষত নিরাময়ের চেষ্টা হবে। এই ক্ষেত্রগুলিকে চাঙ্গা করার জন্য বেশ কিছু দাওয়াই ঘোষণা করা হতে পারে। একইসঙ্গে গরিব মানুষের সুরাহাতেও আরও কিছু ঘোষণা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে ইতিমধ্যেই একটি ক্ষমতাসম্পন্ন গোষ্ঠী (এমপাওয়ার্ড গ্রুপ) তৈরি হয়েছে। আর্থিক বিষয়ক সচিব অতনু চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই গোষ্ঠী ছোট মাঝারি শিল্প, বিমান, কৃষি, হোটেল, পর্যটনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমস্যা খতিয়ে দেখছে।
আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতর বিবৃতিতে জানিয়েছে, মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে প্রতিটি মন্ত্রককে একটি ‘বিজনেস কন্টিনিউটি’ পরিকল্পনা তৈরি করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, উদ্ভাবনী সমাধান বার করতে হবে। লকডাউনের ফলে রবি ফসল কাটায় বাধা পড়েছে। চাষিরা ফসল কাটলেও বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না। তার জন্য ট্রাক বা অন্য গাড়ি মিলছে না। প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি, অ্যাপ-নির্ভর ট্যাক্সি পরিষেবার মতো ট্রাকের ক্ষেত্রেও একই রকম ব্যবস্থা চালু করা যায়। যাতে চাষিরা
সহজেই বাজারে ফসল নিয়ে যেতে পারেন। মন্ত্রীদের রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে, তৃণমূল স্তরের হালহকিতকত জানানোর নির্দেশ দেন মোদী।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy