প্রতীকী ছবি।
ডাক অত্যাবশ্যক পরিষেবা হলেও, পরিকাঠামোর অভাবে রাজ্যের সব ডাকঘর খোলা নেই এই লকডাউনে। তাই এপ্রিলের শুরুতে মার্চের পেনশন তোলা নিয়ে প্রবীণদের মধ্যে দানা বেঁধেছে সংশয়। এই পরিস্থিতিতে ডাক বিভাগের দাবি, সুষ্ঠু ভাবে প্রবীণদের সুবিধা-অসুবিধা মাথায় রেখে এবং ভিড় এড়াতে ওই পরিষেবা দেওয়ার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা ছকেছে তারা। যার অন্যতম, বয়স ৮০ বছরের বেশি হলে বা কেউ অসুস্থ হলে তাঁর বাড়িতে ডাক কর্মীদের দিয়ে পেনশন পৌঁছে দেওয়ার ভাবনা। কিংবা সময় বেঁধে পেনশন তোলার ব্যবস্থা করা।
ডাক বিভাগের (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল) চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য সোমবার জানান, এ বার ১ ও ২ এপ্রিল বার্ষিক ব্যাঙ্ক ক্লোজ়িং ডে। আর্থিক লেনদেন বন্ধ। তাই ৩ এপ্রিল থেকে ডাকঘরে পেনশন তোলা যাবে। সে জন্য যতগুলি সম্ভব ডাকঘর খোলা রাখার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বন্ধ ডাকঘরগুলিতেও কারও পেনশন অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাছাকাছি বিকল্প কোন ডাকঘর খোলা, তা সংশ্লিষ্ট পেনশনভোগীকে ফোন করে আগাম জানাতে চেষ্টা করা হবে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা না-গেলে, পেনশন প্রাপকদের সংগঠনকে সেই তথ্য জানানো হবে।
বাড়িতে পেনশন পৌঁছনো হবে ৮০ বছরের বেশি মানুষদেরও। তবে অসুস্থ কাউকে বাড়িতে পেনশন পৌঁছনোর আগে তিনি সত্যিই কতটা অসুস্থ, তা যাচাই করা হবে। গৌতমবাবু জানান, ভিড় এড়াতে পেনশন প্রাপকদের ডাকঘরে যাওয়ার আলাদা আলাদা সময় বাঁধার কথা ভাবা হচ্ছে। সময় ফোনে জানিয়ে দেওয়া হবে তাঁদের।
ন্যাশনাল ফেডারেশন অব পোস্টাল এমপ্লয়িজ়ের সম্পাদক (পশ্চিমবঙ্গ শাখা) জনার্দন মজুমদার বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষ যা চাইছেন, তা পালনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন কর্মীরা। কর্তৃপক্ষও যেন তাঁদের ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই পরিকল্পনা রূপায়ণে সদর্থক ভূমিকা নেন।’’ জনার্দনবাবু জানান, কোন ডাকঘর খোলা থাকছে, তার তালিকা স্পষ্ট জানালে, তাঁরাও পেনশনভোগীদের তা জানানোর চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি কর্মীদের স্বাস্থ্য-সহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আরও উদ্যোগী হোন কর্তৃপক্ষ, দাবি তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy