Advertisement
০৬ মে ২০২৪
coronavirus

টানা তিন দিন নতুন আক্রান্ত দেড় লক্ষের বেশি, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮৭৯

এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৯৮ জন। এত সংখ্যক সক্রিয় রোগী করোনার প্রথম দফাতেও ছিল না।

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান।

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২১ ১০:৫৫
Share: Save:

পর পর তিন দিন দেশের দৈনিক সংক্রমণ দেড় লক্ষের উপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৩৬ জন। যা সোমবারের তুলনায় হাজার সাতেক কম। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৫৩। গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে ব্রাজিলকে টপকে মোট আক্রান্তের নিরিখে ফের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। কোভিডের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৮৭৯ জন। এ নিয়ে গত পাঁচদিন দেশে দৈনিক মৃত্যু হল ৭৫০-এর বেশি। দেশে মোট ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৮ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস।

সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হয়েছে ১২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৯৮ জন। এত সংখ্যক সক্রিয় রোগী করোনার প্রথম দফাতেও ছিল না দেশে। এর জেরে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তৈরি হচ্ছে। যে সব রাজ্যতে আক্রান্ত বেশি হচ্ছে, সে রাজ্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যেমন মহারাষ্ট্রের ওসমানাবাদ জেলায় হাসপাতালগুলিতে খালি নেই শয্যা। নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি-ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, চেয়ারে বসেই অক্সিজেন, স্যালাইন নিচ্ছেন রোগীরা। ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালে পড়ে রয়েছে কোভিড রোগীদের দেহ। দৈনিক মৃত্যু সেখানে যে হারে বেড়েছে, যার জেরে মর্গে দেহ রাখারও জায়গা হচ্ছে না।

এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য সংক্রমণে রাশ টানতে চাইছে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন। সে জন্য ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বড় বড় শহরে জারি রয়েছে রাত্রিকালীন লকডাউন। আংশিক লকডাউনও জারি হয়েছে কয়েকটি রাজ্যে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে মহারাষ্ট্রেও। সে রাজ্যে পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে শুরু করেছে যে, সম্পূর্ণ লকডাউন করার চিন্তাভাবনাও করছে উদ্ধবের সরকার।

করোনার প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৭৫১ জন। উত্তরপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে সংখ্যাটা সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি। রাজধানী দিল্লিতেও দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ১১ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। কর্নাটকে তা সাড়ে ৯ হাজার। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ুতে নতুন আক্রান্ত সাড়ে ৬ হাজারের আশপাশে। কেরলের বাড়ছে সংক্রমণ। রাজস্থানে তা বেড়ে ৫ হাজার ছাড়াচ্ছে গত ক’দিন ধরেই। পশ্চিমবঙ্গে তা সাড়ে ৪ হাজার। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, পঞ্জাব, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশাতেও বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তুলনায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও সে ভাবে আছড়ে পড়েনি।

এই পরিস্থিতিতেই দেশে কোভিড টিকাকরণ চলছে। ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সকলে টিকা নিতে পারছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ৪০ লক্ষ ৪ হাজার ৫২০ জনকে। এ নিয়ে মোট ১০ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮৫ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে দেশে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 coronavirus Coronavirus in India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE