E-Paper

লাদাখের দুর্গে চিনা ঘাঁটি, দাবি কাউন্সিলরের

টুইটারে ছবিতে স্টানজ়িন লিখেছেন, ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে গোটা ব্যাপারটা সেরে ফেলেছে লাল ফৌজ। লে জেলার জ়োরাওয়র ফোর্টে ঘাঁটি গেড়ে তো বসেইছে, সেই সঙ্গে নতুন নির্মাণও চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ০৮:৩৮
An image of the Border

এই ছবিই টুইট করেছেন চুসুলের কাউন্সিলর কনচক স্টানজ়িন। ছবি:  টুইটার।

লাদাখের ডেমচকে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ঘেঁষা একটি দুর্গ। ডোগরা রাজাদের সেনানায়ক জ়োরাওয়র সিংহের নাম জড়িয়ে রয়েছে তার সঙ্গে। সেই জ়োরাওয়র ফোর্ট দখল করে চিনা সেনা সেখানে রীতিমতো নিজেদের নজরদারির ঘাঁটি গেড়ে বসেছে বলে দাবি করলেন চুসুলের কাউন্সিলর কনচক স্টানজ়িন।

টুইটারে ছবি-সহ গত কাল ও আজ স্টানজ়িন লিখেছেন, ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এই গোটা ব্যাপারটা সেরে ফেলেছে লাল ফৌজ। লে জেলার জ়োরাওয়র ফোর্টে ঘাঁটি গেড়ে তো বসেইছে, সেই সঙ্গে নতুন নির্মাণও চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া এলাকায় চিনা আগ্রাসন নিয়ে পোস্ট করেছেন স্টানজ়িন। গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁর টুইট করা তেমনই এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ি উপত্যকায় বিরাট এলাকা জুড়ে দোতলা বাড়ির সারি। ছবির সঙ্গে স্টানজ়িন লিখেছেন, ‘২০১০-২০১২ সালের মধ্যে ডেমচকে এই দোতলা বাড়িগুলো তৈরির কাজ সেরে ফেলেছে চিন। একে বলা হচ্ছে ‘নিউ কনস্ট্রাকশন এরিয়া’ (এনসিএ)। যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সমেত এমন পরিকাঠামো ডেমচকে ভারতের দিকে এবং পূর্ব লাদাখের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতেও তৈরি হওয়ার আশা কি আমরা করতে পারি?’

কী রয়েছে এই দোতলা বাড়িগুলিতে? পুরনো পোস্টে স্টানজ়িনের দাবি, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যাযাবর গোষ্ঠীগুলিকে এনে বসানোর জন্য চব্বিশ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ও ৪জি ইন্টারনেট সংযোগ-সহ এই সব বাড়ি পরিকল্পিত ভাবে তৈরি করেছে চিন। তিন বছর আগেকার সেই টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগও করেছিলেন স্টানজ়িন। বস্তুত, উত্তরাখণ্ড ও অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত ঘেঁষে চিনের একই ভাবে গ্রাম তৈরির প্রমাণ মিলেছে।

স্টানজ়িনের এই নয়া দাবির বিষয়ে ভারত সরকার বা সেনাবাহিনীর তরফে এখনও কেউ মুখ খোলেননি। তবে এর জেরে ডোকলামের চাপানউতোর থেকে শুরু করে গলওয়ান উপত্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরে এমনিতেই অস্থির হয়ে থাকা ভারত-চিন সম্পর্কে উত্তেজনা আরও বাড়ে কি না, সেটাই দেখার। স্টানজ়িনের বক্তব্য, সীমান্ত বরাবর চুপিসারে পরিকাঠামো নির্মাণ করে চলেছে চিন। ভারতেরও একই কাজ করা উচিত। একটি পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘‘লাদাখের প্রত্যন্ত এলাকায় কী ঘটে চলেছে, সেই খবর করছে না মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যম। ধীরে ধীরে চিন আমাদের এলাকা দখল করে নিচ্ছে।’’ অন্য দিকে লাদাখে যে সব সংঘর্ষবিন্দুতে এখনও ভারতীয় ও চিনা সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সেখানকার সমস্যা মেটাতে দ্রুত দুই সেনা ফের আলোচনায় বসবে বলে আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারত ও চিনের প্রতিনিধিরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

India-China Ladakh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy