উন্নাও কাণ্ডে প্রতিবাদ। ফাইল চিত্র।
দেশের বিচার ব্যবস্থায় ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’, বলছেন অনেকেই। পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বয়ান নিতে আদালতই আজ উঠে এল হাসপাতালে। দিল্লির এমসে তৈরি করা অস্থায়ী এজলাসে এলেন জেলা বিচারক ধর্মেশ শর্মা। সেখানে হাজির করা হল উন্নাও গণধর্ষণ-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তথা প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গার ও আর এক অভিযুক্ত শশী সিংহকে। রুদ্ধদ্বার শুনানিতে দুই অভিযুক্তকে শনাক্তও করলেন অভিযোগকারিণী।
চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, নির্যাতিতা আদালতে হাজিরা দেওয়ার অবস্থায় নেই। দিল্লি হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে আজ তাই এমসের জয়প্রকাশ নারায়ণ ট্রমা সেন্টারের সেমিনার হল-এ বসেছিল অস্থায়ী আদালত। সেখানে কিছুটা সময় হুইলচেয়ারে বসে, কিছুটা সময়ে স্ট্রেচারে শুয়ে বয়ান দেন নির্যাতিতা। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মসৃণ ভাবেই চলে আদালতের কাজকর্ম। শুধু মাঝে মাঝে অভিযোগকারিণীকে ওষুধপত্র দেওয়া ও অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনে নেওয়া হয় বিরতি।
তিহাড় জেল থেকে হাসপাতালের আদালতে আনা হয় অভিযুক্তদের। হাসপাতালের প্রবেশপথ থেকে সেমিনার হল পর্যন্ত ছিল দিল্লি পুলিশ এবং সিআরপি-র প্রহরা। অন্য দরজা দিয়ে ঢুকতে হয়েছে সাধারণ রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। আদালতে প্রবেশাধিকার ছিল না আমজনতা ও সংবাদমাধ্যমের। সেমিনার হলের সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল বন্ধ।
বিচারক এসে যান ১০টাতেই। নির্যাতিতাকে আনার পরে এক প্রস্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় তাঁর। বিচারককে চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানানোর পরে শুরু হয় কোর্টের কাজ। এক জন অভিজ্ঞ নার্সকে রাখা হয় নির্যাতিতার সঙ্গে। আদালতের নির্দেশ মেনেই অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্তদের মাঝখানে টাঙানো হয়েছিল পর্দা। তা সত্ত্বেও দুই অভিযুক্তকে তরুণীটি শনাক্ত করেছেন বলেই তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন। আগামিকাল সওয়াল-জবাবের মুখোমুখি হতে হবে নির্যাতিতাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy