Advertisement
E-Paper

ম্যাক্সিস মামলায় কাঠগড়ায় সিবিআই

এয়ারসেল ম্যাক্সিস মামলায় আজ দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। আদালতের প্রশ্ন, যদি সরকারের ছাড়পত্রই না মেলে, তা হলে সিবিআই চার্জশিট দায়ের করেছে কেন?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২২

সিবিআইয়ের অন্দরমহলে হচ্ছেটা কী! প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করেছে সিবিআই। তারপরে আড়াই মাস পার। অথচ মোদী সরকার এখনও চিদম্বরমকে কাঠগড়ায় তুলে অভিযুক্ত করারই অনুমতি দেয়নি সিবিআইকে। এয়ারসেল ম্যাক্সিস মামলায় আজ দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। আদালতের প্রশ্ন, যদি সরকারের ছাড়পত্রই না মেলে, তা হলে সিবিআই চার্জশিট দায়ের করেছে কেন?

সিবিআইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিচারক ও পি সাইনির মন্তব্য, ‘‘আপনাদের চার্জশিট দায়ের করাই উচিত হয়নি। এতে আদালতের সময় নষ্টই হচ্ছে। মামলা ঝুলে থাকছে।’’ সিবিআইয়ের আইনজীবী সনিয়া মাথুর আদালতের কাছে সময় চেয়ে বলেন, ‘‘সরকার সক্রিয় ভাবে অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।’’
আপাতত ৭ সপ্তাহ সময় দিলেও বিচারক সাইনি হুঁশিয়ারি দেন, এর পরেও অনুমতি না মিললে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ হেন গুরুতর অভিযোগ থাকার পরেও কেন সরকারি ছাড়পত্র পেতে দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে সরকারের অন্দরমহলেই প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তা, ডিরেক্টর অলোক বর্মা ও স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার মধ্যে বিবাদ এখন প্রকাশ্যে। কিন্তু সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে। এ দিকে অরুণ জেটলির অর্থ মন্ত্রকের কিছু ব্যক্তি চিদম্বরমকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলে বারবার প্রকাশ্যে অভিযোগ তুলছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

এটি কি সিবিআইয়ের অন্দরের সমস্যা? না কি সিবিআইয়ের সঙ্গেই সরকারের সমন্বয়ের অভাব? শুধু চিদম্বরম বা তাঁর পুত্র কার্তি নন। আরও ১৬ জনের বিরুদ্ধে ১৮ জুলাই চার্জশিট দায়ের করে সিবিআই। নাম ছিল প্রাক্তন আর্থিক বিষয়ক সচিব অশোক কুমার ঝা, তদানীন্তন অতিরিক্ত সচিব অশোক চাওলারও। কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ ও দীপক কুমার সিংহ নামে দুই অফিসারেরও নাম ছিল চার্জশিটে।

মজার কথা, শুধু চিদম্বরম নন, প্রাক্তন ও কর্মরত আমলাদের কোর্টে অভিযুক্ত করার জন্যও গত আড়াই মাসে সরকারি ছাড়পত্র আদায় করে উঠতে পারেনি সিবিআই। সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি ভাবে এয়ারসেল সংস্থায় মালয়েশিয়ার ম্যাক্সিসকে বিদেশি লগ্নি করার ছাড়পত্র পাইয়ে দেন চিদম্বরম।

বিনিময়ে কার্তির সংস্থাকে ঘুষ দেওয়া হয়। চিদম্বরম জুলাইয়েই অভিযোগ তোলেন, সিবিআইকে চাপ দিয়ে তাঁর ও আমলাদের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট দায়ের করানো হয়েছে। কংগ্রেসের যুক্তি, সিবিআই যে চাপের মুখেই নিয়ম শিকেয় তুলে বিরোধীদের নিশানা করছে, তা-ই প্রমাণ হল।

Aircel-Maxis case CBI P Chidambaram পি চিদম্বরম Dehi High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy