E-Paper

বিলে সম্মতির সময় বাঁধা নিয়ে ভিন্ন সুর আদালতের

বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সম্মতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় এর আগে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫১
রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যুক্তি হতে পারে না বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট।

রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যুক্তি হতে পারে না বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। —প্রতীকী চিত্র।

বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সম্মতি দিতে দেরি হওয়ার কয়েকটি উদাহরণ সামনে এলেই তা রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যুক্তি হতে পারে না বলে আজ মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স মামলার ষষ্ঠ দিনে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের বিচারপতিরা মন্তব্য করেছেন, বিলে সম্মতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে, সমাধান চেয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষ আদালতে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালত নির্দিষ্ট সময়সীমার কথা বলতেই পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে আদালত রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের জন্য সাধারণ ভাবে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে।

বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সম্মতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় এর আগে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই এই বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির ভূমিকা ব্যাখ্যা করার জন্য চোদ্দটি প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের সামনে পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলির মতামত জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। তারপর সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের সামনে প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স মামলা শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের সামনে আজ ছিল মামলার ষষ্ঠ দিন।

এই মামলায় তামিলনাড়ু সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের মামলায় শীর্ষ আদালতের দুই সদস্যের বেঞ্চের সেই রায়কে সমর্থন করেন যেখানে রাজ্যপালদের জন্য তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সিঙ্ঘভি আজ যুক্তি দেন, বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সম্মতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে দেরি হওয়ার উদাহরণ বারবার সামনে আসছে। ফলে রাজ্যপালদের বিল আটকে রাখার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া জরুরি। এর পরেই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সময়সীমা নিয়ে মৌখিক ভাবে মতপ্রকাশ করেছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Supreme Court Governor president

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy