Advertisement
E-Paper

GST: জিএসটি ক্ষতি মেটানোর ব্যবস্থা চায় বিজেপি-রাজ্য

২০১৭-তে জিএসটি চালুর সময় ঠিক হয়েছিল, প্রথম পাঁচ বছর রাজ্যগুলির রাজস্ব আয় প্রতি বছর ১৪ শতাংশ হারে না বাড়লে, সেই লোকসান কেন্দ্র মিটিয়ে দেবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আগামী বছরের জুলাইয়ের পরেও কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যগুলিকে জিএসটির লোকসান মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু থাকুক— কংগ্রেস ও বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির পাশাপাশি বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীরাও এমনই চাইছেন। আগামী পরশু লখনউয়ে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে অধিকাংশ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীই এই দাবি তুলবেন। উল্টো দিকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হবে, ২০২২-এর পরেও ওই ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা বজায় রাখতে হলে, রাজস্ব আয় বাড়ানোর রাস্তাও খুঁজতে হবে। তাতে রাজ্যগুলিকে সায় দিতে হবে।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাবের মতো কংগ্রেস শাসিত রাজ্য, বাম শাসিত রাজ্য কেরলের মতো বিজেপি শাসিত কর্নাটকের মতো রাজ্যও চাইছে, ২০২২-এর জুলাইয়ের পরেও ক্ষতিপূরণ মেটানোর ব্যবস্থা চালু থাক। কর্নাটকের দাবি, তিন বছর এই ক্ষতিপূরণ মেটানো হোক। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল আজ বলেন, ‘‘জিএসটি আইন অনুযায়ী কেন্দ্র রাজ্যের পাওনা মেটাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার আইন মানছে না। কেন্দ্র যদি পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসতে চায়, ভাল কথা। আইন অনুযায়ী, পেট্রল-ডিজেলে শুল্ক থেকে যা আদায় হয়, তার ভাগ রাজ্যগুলিরও পাওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্র সেস চাপাচ্ছে। তার ভাগ রাজ্য পাচ্ছে না।’’

২০১৭-তে জিএসটি চালুর সময় ঠিক হয়েছিল, প্রথম পাঁচ বছর রাজ্যগুলির রাজস্ব আয় প্রতি বছর ১৪ শতাংশ হারে না বাড়লে, সেই লোকসান কেন্দ্র মিটিয়ে দেবে। তার জন্য বিলাসবহুল ও পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক পণ্যের উপরে জিএসটি অতিরিক্ত বাড়তি সেস চাপিয়ে ক্ষতিপূরণ মেটানোর তহবিল তৈরিরও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত বছর কোভিডের ধাক্কা ও লকডাউনের সময় রাজ্যগুলির আয় কমে যায়। ফলে ক্ষতিপূরণের দাবিও বাড়তে থাকে।
এ দিকে, কেন্দ্রের তহবিলেও আয় কমে যায়। ফলে অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের তরফে ক্ষতিপূরণ মেটানো সম্ভব হবে না। শেষে ঠিক হয়, কেন্দ্র ঋণ নিয়ে রাজ্যগুলিকে ঋণ দিয়ে দেবে।

অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসার সঙ্গে সঙ্গে জিএসটি থেকে আয় ফের বাড়তে শুরু করেছে। এখন মাসে গড়ে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা আয় হচ্ছে। ফলে চলতি বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিলেই রাজ্যগুলির অভাব পুষিয়ে দেওয়া যাবে। গত বছরের বকেয়াও অনেকখানি মিটিয়ে দেওয়া যাবে।

সরকারি সূত্রের খবর, শুক্রবারের জিএসটি পরিষদের বৈঠকে জোম্যাটো, সুইগি-র মতো বাড়িতে বসে খাবারের অর্ডারের মতো অ্যাপ পরিষেবার উপরেও রেস্তরাঁর মতো জিএসটি চাপানো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। রেমডেসিভিয়ারের মতো কোভিডের চিকিৎসার ওষুধের উপরে জিএসটিতে ছাড় ৩১ ডিসেম্বরের পরেও বহাল রাখার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।

GST BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy