দেশের নানা প্রান্তে নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা ভাইরাস। —ফাইল চিত্র।
শীতের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। গত কয়েক দিনে দেশের নানা প্রান্তে কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভাইরাসের নতুন উপরূপ জেএন.১। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শনিবার সকালের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫২ জন। সেই সঙ্গে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩,৪২০-তে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় চার জনের মৃত্যুও হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন কেরলের বাসিন্দা, এক জন রাজস্থান এবং এক জন কর্নাটকের বাসিন্দা। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ২২ জন করোনা রোগীর শরীরে জেএন.১ উপরূপের অস্তিত্ব জানা গিয়েছে। ভাইরাসের এই উপরূপ নিয়ে সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। চিনে জেএন.১-এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। ভরে উঠেছে হাসপাতালগুলি। তবে এখনও এই উপরূপের প্রভাবে কারও মৃত্যুর খবর জানা যায়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা বৃদ্ধি পেয়েছে কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং গুজরাতে। করোনার বিষয়ে সতর্ক হতে রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতি রাজ্যে কেন্দ্রের সতর্কবার্তা পৌঁছেছে। রাজ্য সরকারের তরফেও করোনা ঠেকাতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। রাজস্থান, কর্নাটক, বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশে স্বাস্থ্য দফতর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে। তবে এখনই নতুন করে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা বা ঘুরতে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করার মতো কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই।
কলকাতাতেও করোনা নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত শহরে মোট আট জনের দেহে ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছিল ছ’মাসের এক শিশুও। জেএন.১ উপরূপ কারও দেহে রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রথম জেএন.১ উপরূপের খোঁজ মেলে। তার পর থেকে একে একে অনেক দেশেই এই উপরূপ ডালপালা মেলেছে। ভারতে প্রথম এই উপরূপের সন্ধান মেলে কেরলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (হু) ভাইরাসের নতুন উপরূপ নিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy