প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণের জেরে রোগীদের দেহে হয়তো বাসা বাঁধতে পারে যক্ষার জীবাণুও। এমনটাই আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের দাবি, কোভিডে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে যক্ষায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এই দাবি খতিয়ে দেখতে তৎপর হয়েছে মন্ত্রক। কোভিড সংক্রমিতরা যক্ষা রোগেও আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য সমস্ত রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক। সেই সঙ্গে যক্ষা রোগীদেরও কোভিড পরীক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন মন্ত্রকের আধিকারিকেরা।
শনিবার এই মর্মে দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এ বার থেকে সমস্ত কোভিড রোগীর যক্ষার পরীক্ষাও করতে হবে। পাশাপাশি, যক্ষা রোগীদের মধ্যেই কোভিডের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক।
সম্প্রতি কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে যক্ষা বাড়ছে বলে কয়েকটি রিপোর্ট সামনে আসে। এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই বলে দাবি করেও দুইয়ের মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না তা জানতে ২০২০ সালের অগস্ট থেকে যক্ষা এবং কোভিডের আক্রান্তদের নজরদারির পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক।
মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে যক্ষা রোগের কেস রিপোর্ট নথিভুক্ত করা প্রায় ২৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। তবে যক্ষা এবং কোভিড— দুইয়ের ক্ষেত্রেই প্রায় একই রকমের উবসর্গ দেখা যায়। ফুসফুসে সংক্রমণ ছাড়াও শ্বাসকষ্ট ও কাশি হয় আক্রান্তের। অন্য দিকে, যক্ষা রোগের জীবাণু মানবদেহে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। কোনও কারণে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে তা নিজের শক্তি বাড়িয়ে সংক্রমণ ছড়ায়। প্রায় একই ভাবে কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিও প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসে ফের করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। ফলে দু’ক্ষেত্রেই সতর্কতার প্রয়োজন বলে মনে করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy