—প্রতীকী চিত্র।
শিশুদের জন্যও করোনার প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বছর অক্টোবরের মধ্যেই মিলবে সেই প্রতিষেধক। সব কিছু ঠিক থাকলে অক্টোবরেই জন্মের পর প্রথম মাসেই শিশুদের উপর সেই প্রতিষেধকের প্রথম টিকা প্রয়োগ করা যাবে। জানালেন ভারতে কোভিশিল্ড প্রতিষেধক উৎপাদনকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর, গ্রুপ এক্সিম পি সি নাম্বিয়ার। তিনি জানান, পরবর্তী কালে ওই প্রতিষেধককে ওষুধ হিসেবে বাজারে আনার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের, যাতে কোভিড সংক্রমণ হলে শিশুদের তা খাওয়ানো যায়।
শনিবারই আমেরিকান সংস্থা নোভাভ্যাক্সের তৈরি কোভাভ্যাক্স প্রতিষেধকটি ভারতে নিয়ে আসবেন বলে ঘোষণা করেছেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। জুনের মধ্যেই ভারতের বাজারে সেটি পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে নাম্বিয়ার জানিয়েছেন, মোট ৪টি করোনা প্রতিষেধক তৈরি করবে তাঁদের সংস্থা। বছরের শেষ দিকেই সেগুলি বাজারে চলে আসবে। তিনি বলেন, ‘‘জুনের মধ্যে নোভাভ্যাক্সের প্রতিষেধক চলে আসবে। দ্রুত গতিতে পরীক্ষা শিশুদের জন্য প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে অক্টোবরে। কোডাজেনিক্সের সহযোগিতায় তৈরি কোভিভ্যাক্সের পরীক্ষা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে।’’
জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাতে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও টিকাকরণে এখনও পর্যন্ত সে ভাবে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মেলেনি। এই মুহূর্তে প্রতি মাসে কোভিশিল্ডের ১০ কোটি প্রতিষেধক তৈরির লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা এগোচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নাম্বিয়ার। তবে চাহিদা বুঝে পরবর্তী কালে উৎপাদন বাড়ানো হবে। এখনও পর্যন্ত কোনও রাজ্য সরাসরি তাঁদের প্রতিষেধকের বরাত দেয়নি, কেন্দ্রীয় সরকারই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও জানান তিনি। তাঁদের তৈরি কোভিশিল্ড করোনার সব প্রজাতির বিরুদ্ধে কার্যকর বলেও দাবি করেন নাম্বিয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy