Advertisement
E-Paper

পাথর ছোড়ে কাশ্মীর, মন্তব্য ক্রিকেট-কর্তার

গাফিলতি মানতে নারাজ এসিএ। সংস্থার সহ-সভাপতি দেবজিৎ শইকিয়ার দাবি, আইসিসি পরিদর্শক রিচি রিচার্ডসনের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছিল।

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০০
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

বিক্ষোভে পাথর ছোড়ে কাশ্মীর, অসম নয়— এমনই ধারণা ছিল অসম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের। তাই অস্ট্রেলিয়া দলের বাসের কাচ কতটা মজবুত, তা দেখার প্রয়োজন মনে করেননি তার কর্তারা! এমন কথা শোনা গিয়েছে অ্যাসোসিয়েশনের অন্দরমহলেই।

তার জেরেই মুখ পুড়েছে রাজ্যের। দেশেরও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা মাঠ থেকে হোটেলে ফেরেন শক্ত, ল্যামিনেটেড কাচে ঢাকা ভলভো বাসে। সেটাই দস্তুর। অনূর্ধ-১৭ বিশ্বকাপের খেলোয়াররাও এ দেশে পাচ্ছেন তেমনই সুবিধা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ধরনের বাসের জানালার কাচে দু’টি স্তরের মধ্যে থাকে ভিনাইলের আস্তরণ। বাইরে থেকে কিছুর আঘাতে কাচ গুঁড়ো হয়ে যায় না। পুলিশকর্তাদের একাংশ জানান, ঘটনার দিন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের জন্য আনা হয়েছিল অসম পরিবহণ নিগমের সাধারণ একটি এসি বাস!

গাফিলতি মানতে নারাজ এসিএ। সংস্থার সহ-সভাপতি দেবজিৎ শইকিয়ার দাবি, আইসিসি পরিদর্শক রিচি রিচার্ডসনের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছিল। বাসের সামনে পুলিশ পাইলট, পিছনে এসকর্ট গাড়ি ও ভিতরে নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। বাসের প্রকৃতি বা জানালার কাচের বিষয়ে আইসিসি কোনও নির্দেশ দেয়নি। দু’দলের জন্যই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস ছিল। তাঁর মন্তব্য, ‘‘অসমে বাসে পাথর ছোড়া হয় না। ও সব কাশ্মীরে ঘটে। তাই শক্ত কাচ বা কাচের বাইরে জাল লাগানোর কথা ভাবা হয়নি।’’

এ দিকে পাথর-কাণ্ডে গ্রেফতার রাকেশ হাজোয়ারি ও পবিত্র ক্ষত্রিয় একটি বিস্কুট সংস্থায় ট্রাক চালান। ট্রাকের মালিক প্রদীপকুমার দাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সে দিন রাকেশরা ট্রাক নিয়ে রহা গিয়েছিলেন। রাতে ট্রাক গ্যারাজে রেখে রাকেশ ও পবিত্র বাড়ি ফেরার জন্য জাতীয় সড়কে গাড়ির অপেক্ষা করছিলেন। পুলিশের একটি দল আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে তাঁদের জিপে তুলে গড়চুক থানায় নিয়ে যায়।

Australia Cricket Association
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy