ফণী তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে ঘর। পুরীতে। ছবি: এএফপি।
অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর হাতে মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর লক্ষ্যে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের ভূমিকার প্রশংসা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। জানিয়ে দিল, জীবনহানি রুখতে ভারত ভীষণ ভাল কাজ করেছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘অফিস ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’ (ওডিআরআর)-এর মুখপাত্র জেনিস ম্যাকক্লিন বলেন, ‘‘নির্ভুল সতর্কবার্তায় আগেই ১১ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রায় ৯০০টি সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় দেওয়া হয় তাঁদের। জীবনহানি ও ক্ষয়ক্ষতি রুখতে ভারত ভীষণ ভাল কাজ করেছে।’’
বৃহস্পতিবার সকালেই ওড়িশার পুরীতে আছড়ে পড়ে ফণী। তার পর ১৭৫ কিলোমিটার গতিতে লন্ডভন্ড করে দেয় সে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্লাবিত হয়ে যায় বহু নিচু এলাকা। ভেঙে পড়ে প্রচুর কাঁচা ঘর। পাকা বাড়ির জানলার কাচ ঝড়ের দাপটে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এমন ভয়ঙ্কর ঝড় ১৯৯৯-এর সুপার সাইক্লোনের পর গত ২০ বছরে ওড়িশায় হয়নি। আবহাওয়া দফতর তেমনই দাবি করে। কিন্তু এই ভয়ঙ্কর ঝড়ে যে পরিমাণ প্রাণহানির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা কিন্তু হয়নি। শনিবার সকাল পর্যন্ত যা হিসেব, তাতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ওড়িশায়। পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যুর কোনও খবর নেই।
আরও পড়ুন: বিপদ কাটল কান ঘেঁষে, স্থলভাগে ঢুকে ফণীর দ্রুত শক্তি খোয়ানোই বাঁচিয়ে দিল বাংলাকে
এ জন্য ভারতের আবহাওয়া দফতরের নির্ভুল তথ্য এবং আগাম সতর্কতাকেই কৃতিত্ব দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সচিব মামি মিজুতোরি ভারতের এই সাফল্যের প্রশংসা করার সময় #সেন্দাইফ্রেমওয়ার্ক-এ প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। ২০১৫ সালে বিপর্যয়ের ঝুঁকি কমানো নিয়ে জাপানের সেন্দাইয়ে বিশ্ব সম্মেলন হয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের সমস্ত সদস্য দেশগুলো এতে অংশ নিয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল, বিপর্যয়ের ঝুঁকি আগে থেকে বুঝতে পারা এবং তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সব রকম সুবিধার আওতায় আসা। সেই প্রজেক্টের নাম #সেন্দাইফ্রেমওয়ার্ক। ২০১৫-৩০, সেই প্রোজেক্টের অংশ ভারতও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy