প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি বাইরে (ইনসেটে সিতিকণ্ঠ পারিজা)। ছবি: টুইটার।
বাইরের জগৎ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি আমরা। জানলা খুললেই ঝড়ের গর্জন। প্রচণ্ড সোঁ সোঁ শব্দ আর সঙ্গে জলের ঝাপটা। বাইরে উঁকি মারার উপায় পর্যন্ত নেই। ক্রমাগত জোরালো দমকা হাওয়া। চোখের সামনে জানলায় লাগানো গ্লাস ফাইবারটা নিমেষে ভেঙে পড়ল।
আমি ভুবনেশ্বরে থাকি। স্ত্রী-পুত্র কলকাতায়। দুশ্চিন্তা তো হবেই। ওরা সকাল থেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সকাল ৯টায় ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে ফণী। আগাম সতর্কতায় তাই সকাল সকালই অফিসে চলে এসেছি। আমার অফিস ভুবনেশ্বরে। এখন যে জায়গায় আছি, সেটা অবশ্য নিরাপদই।
সারা ভুবনেশ্বর বিদ্যুৎহীন। কিন্তু জেনারেটর থাকায় আমার অফিসে বিদ্যুৎ রয়েছে। ভুবনেশ্বর যে কতটা লন্ডভন্ড হয়েছে, ঘর থেকে বাইরের সেই অবস্থাটা বোধহয় কল্পনাও করতে পারছি না। অফিসের সামনেই অনেকগুলো গাছ উপড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভয়াল-ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলায় লন্ডভন্ড পুরী-ভুবনেশ্বর, যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শুরু উদ্ধারকাজ
আবহাওয়া দফতরের ওয়েবসাইটে নজর রেখে চলেছি। সন্ধ্যা ৬টার আগে বাইরে বেরতে বারণ করেছে আবহাওয়া দফতর। তার পর নাকি ঝড়ের দাপট কমবে। সেই অপেক্ষাতেই আছি।
আমি তো অফিসের গাড়ি পাব। তাই বাড়ি ফেরা নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত। দুর্যোগ এড়িয়ে হয়তো নিশ্চিন্তে গন্তব্যে পৌঁছেও যাব। কিন্তু যাঁদের সে উপায় নেই, তাঁরা কী ভাবে এই দুর্যোগ এড়াবেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy