গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
সুপ্রিম কোর্টে আবার পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। এই নিয়ে পাঁচ বার। শেষ বার ১৫ মার্চ থেকে পিছিয়ে ২১ মার্চ শুনানি হবে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট । কিন্তু মঙ্গলবার ২১ মার্চও শেষ পর্যন্ত শুনানি হল না। সুপ্রিম কোর্টের তরফে আপাতত মামলাটির শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পরবর্তী শুনানির তারিখও। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে আবার পরবর্তী শুনানি হবে এপ্রিলে।
গত ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার প্রথম শুনানির দিন ছিল। কিন্তু শুনানি হয়নি। এর পর আরও তিন বার শুনানির দিন পিছিয়ে অবশেষে ২১ মার্চ হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু এ বারও শুনানি পিছিয়ে গেল। এই শুনানির তারিখ ৪ বার পিছিয়ে অবশেষে মঙ্গলবার হবে বলে জানানো হয়েছিল। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মামলাটির শুনানি আবার স্থগিত রাখা হল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে আগামী ১১ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
২০২২ সালের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তাদের যুক্তি, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা খরচ হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা কঠিন। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের (কনফেডারেশন) আইনজীবী দাবি করেন, বকেয়া ডিএ দিতে হলে রাজ্যের উপর বিশাল অঙ্কের আর্থিক বোঝা চাপবে, এ কথা ঠিক। আবার এ-ও ঠিক যে, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার। তা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যাবে না। কিন্তু বার বার শুনানি পিছোনোয় বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা।
গত বছর ৫ ডিসেম্বর থেকে বার বার পিছোচ্ছিল ডিএ মামলাটির শুনানি। ওই দিনই প্রথম বার মামলাটি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়। মামলাটির শুনানির জন্য নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেখানে ছিলেন দুই বাঙালি বিচারপতি, বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। কিন্তু শুনানির দিনেই মামলাটি থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দত্ত। ফলে মামলার শুনানি হয়নি। এর পরে ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যের পেশ করা হলফনামায় ত্রুটি থাকায় আবার পিছিয়ে যায় শুনানি। ঠিক হয় ১৫ মার্চ শুনানি হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে অর্থাৎ গত বুধবার ‘আফটার নোটিস মিসলেনিয়াস ম্যাটার’ এই সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি ২১ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যে রাজ্যের ডিএ মামলাও ছিল। এর ফলে আরও এক বার পিছিয়ে যায় ডিএ মামলার শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy