বন্যাবিধ্বস্ত কেরল। ছবি: রয়টার্স।
গত বছর বন্যার ভয়াবহ রূপ দেখেছিল কেরল। এ বারও রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা একশো ছাড়ল।
আজই প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, কেরলে অতিরিক্ত বৃষ্টি আর বন্যা সংক্রান্ত নানা দুর্ঘটনায় ১০২ জন মারা গিয়েছেন। এরই মধ্যে আবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মলপ্পুরম এবং কোঝিকোড়ে আগামী কয়েক দিনে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেখানে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল সাত দিন। অবশেষে ‘দিদিকে বলো’র হেল্পলাইনেই প্রথম ফোন করেছিলেন কেরলের বন্যায় দুর্গত রাজমিস্ত্রি বাপন দাস। কাটোয়ার ওই যুবক এবং এ রাজ্যের আরও সাত জন বন্যার কবলে পড়েছিলেন। মঙ্গলবার ফোন করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই কেরলের কিঝুরে স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের উদ্ধারে উদ্যোগী হয়। বাপন ফোনে বললেন, ‘‘সামান্য কিছু খাবার ভাগাভাগি করে আধপেটা খেয়ে ক’টা দিন কাটিয়েছি। চেনা একজনের পাওয়ার ব্যাঙ্কে কিছুটা চার্জ ফোনে আসতেই ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করি।’’
বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ওড়িশার বেশ কয়েকটি জেলাতেও। আগাম সতর্কতা হিসেবে প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে প্রশাসন। তবে কেরল-ওড়িশার পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কাজনক হলেও বৃষ্টি কমেছে মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের বন্যা-কবলিত এলাকাগুলিতে। ধীরে ধীরে বন্যার জল নামতে শুরু করেছে সেখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy