আর লাল ফিতের ফাঁস রইল না। এ বার এ দেশের টাটা, রিলায়্যান্স বা আদানির মতো সংস্থাগুলিই বিদেশের বোয়িং কিংবা লকহিড মার্টিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজেদের কারখানায় যুদ্ধবিমান বা ডুবোজাহাজ তৈরি করতে পারবে।
আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির নেতৃত্বে ‘ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল’ দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থাগুলির ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ’ নীতিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। এত দিন শুধু মাত্র ডিআরডিও বা হ্যাল-এর মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিই বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারত। এ বার এ দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলিও বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করতে পারবে।
নরেন্দ্র মোদীর লক্ষ্য হল, বিদেশ থেকে যুদ্ধাস্ত্র বা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি কমিয়ে দেশেই আধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করা। তাঁর যুক্তি, আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে হবে। সমস্যা ছিল আধুনিক প্রযুক্তির অভাব। কিন্তু ডিআরডিও-হ্যাল বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মেলালেও তাতে বিরাট সাফল্য আসেনি। মোদী সরকারের যুক্তি, দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলি হাত মেলালে এ দেশে নতুন কারখানা তৈরি, শিল্পায়ন, কারখানার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তৈরি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র প্রকল্প সফল হবে।